বাল্য বিয়ের ঘটনায় কাজীসহ শ্রীঘরে ৩ জন
প্রকাশিত : ২৩:৪৬, ৫ আগস্ট ২০১৯
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বাল্য বিয়ে পড়ানোর অপরাধে কাজী এবং বর ও কনের মামাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা। পুলিশ কতৃর্ক আটকের ৩৬ ঘন্টা পর সাজাপ্রাপ্তদের সোমবার জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের দোগাছী গ্রামে ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজন করেন মেয়ের মা-বাবা ও তার মামা। রাত ৯টার সময় রাজশাহীর লক্ষীপুর ভাটাপাড়া গ্রামের বাবর আলীর ছেলে নাইম আলী (২০) বর সেজে বিয়ের আসরে বসেন।
এ সময় নেজামপুর ইউনিয়নের কাজী এরফান আলীর সহকারী দোগাছী গ্রামের মুঞ্জুর হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম (৪০) বিয়ের কাবিন রেজিস্ট্রিও করে ফেলেন।
বাল্য বিয়ের বিষয়টি স্থানীয়রা নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নাচোল থানা পুলিশকে অবহিত করলে, পুলিশ বিয়ের আসর থেকে বর নাইম আলী, কাজীর সহকারী রবিউল ইসলাম, দোগাছী গ্রামের জহিরুলের মেয়ে (কনে) সাহিদা খাতুন (১৫), বরের মা খালেদা বেগম (৩৫), বরের সঙ্গী রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ফরহাদপুর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বর, কাজীর প্রতিনিধি ও কনের মামাকে পুলিশ ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানার নিকট উপস্থাপন করলে তিনি বর নাইম আলীকে এক মাস, কাজীর প্রতিনিধি রবিউল ইসলামকে ৭ দিন ও কনের মামা হুমায়ুণ কবিরকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
নাচোল থানা পুলিশ গত শনিবার ৫ জনকে আটক করলেও ভ্রাম্যমান আদালতে ৩ জনকে এ সাজা প্রদান করা হয়।
এদিকে বাল্য বিয়ের অপরাধে আটককৃতদের ৩৬ ঘন্টা পর জেলহাজতে প্রেরণের বিষয়ে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, ইউএনও কর্মস্থলে না থাকায় ভ্রাম্যমান আদালত করতে দেরি হয়েছে।
এনএস/
আরও পড়ুন