ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৪

ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু 

ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২৩:৩৬, ৯ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ২৩:৩৭, ৯ আগস্ট ২০১৯

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার ফরিদপুরের আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালে শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিপি আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। 

এদিকে, একই দিন সকালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকার মহাখালি এলাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্মল সিকদার (৫৪) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ডেঙ্গুতে ফরিদপুরে মৃতের সংখ্যা দাড়াল ৩ জনে। আর জেলার ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। এতে জেলায় ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাড়াল মোট ৮ জনে। 

এদিকে, শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬০ জন ডেঙ্গুরোগী। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী। 

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ৭ আগষ্ট জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন লিপি আক্তার। গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ডোমরাকান্দি গ্রামের মাহাবুব খলিফার স্ত্রী লিপি আক্তার সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফমেক হাসপাতালে মারা যান। তার ৭ বছরের একটি ও ৩ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। 

লিপির জা নাছিমা আক্তার জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিপি আক্তারকে ভর্তি করা হয়। পরে তার রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। 

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক কামদা প্রসাদ সাহা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুইদিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন লিপি আক্তার। পরে তার রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় সে ডেঙ্গু আক্রান্ত। চিকিৎসাধীন অবস্থার শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে ঢাকার মহাখালী এলাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারীর ব্যবসায়ী নির্মল সিকদার (৫৪)। নির্মল সিকদার বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের বড় নগর গ্রামের মৃত বীরেন সিকদারের ছেলে। তিনি বিবাহিত এবং এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। তার সাতৈর বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মোল্লা জানান, গত শনিবার (২ আগস্ট) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন নির্মল। ওই দিনই তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত মঙ্গলবার তাকে ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, এ নিয়ে ফরিদপুর জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত  মৃতের সংখ্যা দাড়াল ৮ জনে। এর মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন। বাকি ৫ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. এনামুল হক জানান, গত ২০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫১৫ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন ১৮৬ জন। ৪১ জনকে ঢাকায় স্থানান্তর  করা হয়েছে। মারা গেছেন ২ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৮৬ জন।
এর মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২০৯ জন, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ২১ জন, আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন, মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে ২৮ জন, আরোগ্য সদন হাসপাতালে ১৫ জন ও সমরিতা হাসপাতালে ২ জন ভর্তি আছেন।
কেআই/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি