ক্ষেতে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে বাউফলে দু গ্রুপে সংঘর্ষ
প্রকাশিত : ২২:৩১, ১৮ আগস্ট ২০১৯
হাঁসে রোপা আমন ক্ষেত নস্ট করায় রোববার সকালে পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর গ্রামে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে ১০ জন। আহতদের মধ্যে ইমরান (১৮), ফয়সাল খাঁন (২৩), ইকবাল (১৬) ও হালিম গাজী (৫৫) নামে চার জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিন আগে গ্রামের আনসার খাঁনের রোপা আমন ক্ষেত নস্ট করে তারই ভগ্নিপতি মান্নান খাঁনের পালা হাঁসে। তার জেরে সকালে আনসার খানের ছেলে ইমরান ও ফয়সালের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় মন্নান খানের পরিবারের সদস্যদের। একপর্যায়ে মন্নান খাঁনের ভাই মতলেব ও আনসার খাঁনের ভাই হানিফের নেতৃত্বে রুবেল, জামাল, হাসান, রেজাউল, মোতালেব, মান্নানসহ ১০-১৫ জন মিলে হামলা চালিয়ে ইমরান ও ফয়সালকে মারধর করে দঁড়িতে বেঁধে ফেলে রাখে বাড়ির উঠোনে। এ সময় এগিয়ে গেলে পিটিয়ে আহত করা হয় ছোট ভাই ইকবালকেও।
জীবন বাঁচাতে সে দৌঁড়ে পাশের হালীম গাজীর ঘরে আশ্রয় নিলে হামলাকারিরা সেখানে গিয়ে বসতঘর ভাঙচুরসহ হালীম গাজী ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগমসহ অন্তত ১০ জনকে আহত করে। টানা ২ ঘন্টার হামলায় মালামাল ও আসবাবপত্র তছনছ করা হয় আনছার খানের বসতঘরের। হামলাকারিরা ছিনিয়ে নেয় আনছার খানের গরু বিক্রির নগদ ২ লাখ টাকা ও অন্যান্য মালামালসহ ৪ টি মোবাইলফোন। হামলার ঘটনায় গ্রামের আশপাশের বাড়িঘরের মানুষের মাঝে নামে আতঙ্ক।
এ ব্যাপারে আনছার খান বলেন, ‘ইউনিয়ানের (স্থানীয়) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু সালিস করনের কতা কইয়া কেবুলি সময় খুয়াইছে। তার ছত্রছায়ায় থাইক্কাই অরা হামলা চালাইছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে কেশবপুর ইউপির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘যারা মারামারি করেছে তারা সবাই আত্মীয়স্বজন। আনছার খান নিজেই দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির লোক। কয়েক দিন আগে বোন, ভগ্নিপতিসহ অন্তসত্ত্বা ভাগ্নিকেও মারধর করে সে। ভাগ্নি শিল্পী বেগম এখনও পটুয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। সকালে আত্মীয় স্বজন মিলে এসবের প্রতিবাদ করতে গেলেই সংঘর্ষ বাধে।’
এ ব্যাপারে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ইমরানের বাম হাতের একটি হাড় ভেঙে গেছে। অন্যদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম ও ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। প্রাথমকি চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (শেবাচিম) পাঠানো হয়েছে।’
বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনা জেনেছি। এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এনএম
আরও পড়ুন