ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশিত : ১৮:২৫, ২০ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১৮:২৭, ২০ আগস্ট ২০১৯

বাগেরহাটের শরণখোলায় মাদরাসা ছাত্রী(১১)কে ধর্ষণের অভিযোগের খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় সোমবার রাতে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পিতা ইলিয়াস হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই শিক্ষার্থীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে শরণখোলা থানা পুলিশ।
ইলিয়াস হোসেন শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা রাফেজিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসার সুপার এবং একই উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের গফফার জোমাদ্দারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ আগস্ট মাদরাসার লাইব্রেরীতে নিয়ে ৫ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে ইলিয়াস হোসেন।ওই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি মা-বাবাকে না জানানোর জন্য ভয় দেখায়। পরে শিশুটির শরীরে রক্তক্ষরণ হলে ওই মাদরাসা সুপার মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে সিড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আহত হওয়ার খবর জানায় তার পিতা-মাতাকে।
শিক্ষার্থীকে সুস্থ করতে নিজেই পানি পড়া দেয় ওই সুপার। কিন্তু তাতেও সুস্থ না হওয়ায় সুপারের পরামর্শে মোরেলগঞ্জ উপজেলার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে শিশুটির পিতা-মাতা।সিড়ি থেকে পরে যাওয়া আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ নয়, অন্য কারণ থাকতে পারে বলে চিকিৎসকরা পরিবারকে পরামর্শ দেয়।এরপরেই শিশুটি তার পিতা-মাতাকে বিষয়টি জানায়।ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে, সুপার ওই মেয়ের পিতা-মাতার কাছে ক্ষমা চান। এরপরে পালিয়ে যায়।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)দিলিপ কুমার সরকার বলেন,ধর্ষণের ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর পিতা মামলা দায়ের করেছে। আমরা শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি।অভিযুক্ত সুপার ইলিয়াস হোসেনকে আটক করার জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
কেআই/
আরও পড়ুন