ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতে পাচার হওয়া ৮ তরুণী ও ২ শিশুকে বেনাপোলে হস্তান্তর

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২১:৩২, ২০ আগস্ট ২০১৯

দুই বছর সাজাভোগের পর অবৈধ পথে ভারতে পাচার হওয়া আট বাংলাদেশি তরুণী ও দুই শিশুকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিএসএফ। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকালে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে যৌথভাবে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও চেকপোস্ট বিজিবি‘র কাছে হস্তান্তর করেন। 

ফেরত আসারা হলো ঠাকুরগাওয়ের মিম আক্তার (১৭), মনি আক্তার (১৯), রুবিনা খাতুন (১৮), রিনা বেগম (১৬), মুক্তা আক্তার (১৯ ), বরিশালের মুন্নি আক্তার (২২), ইতি খাতুন (২১) ও রেক্সোনা আক্তার (১৭) এবং দুই শিশু।

ফেরত আসা তরুণীরা বলেন, ভালো কাজের প্রলোভনে বিভিন্ন সীমান্ত পথে তারা দালালের খপ্পরে পড়ে ভারতে পাড়ি জমায় দুই বছর আগে। পরে ভারতীয় পুলিশ তাদেরকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। সেখান থেকে কলকাতার হাওড়ায় অবস্থিত লিলুয়া শেল্টার হোম নামের একটি এনজিও সংস্থা তাদেরকে ছাড়িয়ে নিজেদের আশ্রয়ে রাখে। দু‘দেশের মধ্যে চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে দুই বছর পর তারা নিজ দেশে ফেরত আসে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আবুল বাশার বলেন, এরা দালালদের খপ্পরে পড়ে ভারতে পাচার হয়ে যায়। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দুই বছর পর আজ দেশে ফেরত আসে। তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় পাঠানো হয়েছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সৈয়দ আলমগীর হোসেন বলেন, ফেরত আসাদের কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে পরিবারের কাছে পৌছে দিতে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের প্রতিনিধির কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।

রাইটস যশোরের কোয়ার্ডিনেটর তৌফিকুজ্জামান জানান, দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে স্বদেশ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় তাদের ফেরত আনা হয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে এদেরকে যশোর রাইটস এর শেল্টার হোমে রাখা হবে।এরপর তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তারা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে মামলা করতে চায় তবে তাদের আইনি সহায়তাও দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 
কেআই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি