বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দিনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশিত : ২৩:১৫, ২৪ আগস্ট ২০১৯
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়েরের ঘটনায় ইউপি সদস্যের পুত্র ও নাতিকে পিঠিয়ে গুরুতর জখম ও হাত পা ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনার ইউপি চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দিনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে বাদাঘাট ইউপি সদস্য রেনু মিয়া বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ১৫।
মামলায় আসামীরা হলেন উপজেলার ইছবপুর গ্রামের মৃত ছায়াদ মিয়ার পুত্র দানিছ মিয়া, আ: মালেকের পুত্র আব্দুল হাসিম, আ: হাসিমের পুত্র হ্রদয় মিয়া, মৃত মন্তু মিয়ার পুত্র মন মিয়া, মল্লিকপুর গ্রামের মৃত গোলাম মিয়ার পুত্র নিজাম মিয়া, মৃত আখলু মিয়ার পুত্র রয়েল মিয়া, আ: নুরের পুত্র সাদ্দাম হোসেন, লামাপাড়া গ্রামের মৃত মুক্তার হোসেনের পুত্র ফরিদ মিয়া এবং ক্ষিদির পুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হোসেনের পুত্র সাইফুল ইসলাম।
মামলার অবিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪টা আগষ্ট বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দিন ও সাবেক সচিবের বিরুদ্ধে নানান প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে ৯ জন ইউপি সদস্য/সদস্যা জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের সুত্র ধরেই গত ২২ আগস্ট বিকাল অনুমান ৫টায় বাদাঘাট রাস্তার দীঘির পাড়া নামক স্থানে ও পাঠানপাড়া নদীর তীরে কামাল হোসেনের ক্র্যামার মিলে ইউপি চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দিনের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে ঘাগড়া গ্রামের ইউপি সদস্য রেনু মিয়ার পুত্র আকিকুল ও আকিকুলের পুত্র ও বাদাঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছাব্বির আলমকে পিঠিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় শনিবার তাদেরকে আসামী করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
হাসপাতাল সুত্র জানায়, পিঠিয়ে গুরুতর আহত আকিকুলের হাত ও পা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে আর ছাব্বিরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাঠের রুল ও লোহার রড দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর জখম করেছে। এ ঘটনার আগের দিন আসামী দানিছ মিয়ার নেতৃত্বে কামাল উদ্দিনের কাছে নগদ ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগও রয়েছে।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি মো: আতিকুর রহমান জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় ১০জনকে আসামী করে মামলা রুজু হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
আরকে/
আরও পড়ুন