বদলে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার দোয়ারপাড়া গ্রামের চিত্র
প্রকাশিত : ১৯:২২, ২৫ আগস্ট ২০১৯
“আমার গ্রাম, আমার শহর” এ ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। জেলা সদরের দোয়ারপাড়া গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
এক কথায় শহরের প্রায় সব সুবিধা গ্রামেই পাবেন এলাকাবাসী। জেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় সীমিত সম্পদের ব্যবহার করে দৃশ্যমান পরিবর্তন হচ্ছে দোয়ারপাড়া গ্রামে।
সংশ্লিষ্ট শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অন্য ১০টি সাধারণ গ্রামের মতোই ছিল সদর উপজেলার দোয়ারপাড়া গ্রাম। এ গ্রামেও ছিল সুপেয় পানির অভাব। ছিল রাস্তাঘাটের স্বল্পতা।
সন্ধ্যার পর রাস্তায় আলো জ্বলত না।এখন এসবের পরিবর্তন হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় বদলে দেওয়া হয়েছে গ্রামের আগের চিত্র।
গ্রামবাসী বলছেন, দোয়ারপাড়া গ্রামের মানুষ এখন শহরের অনেক সুবিধা পাচ্ছেন। রাতে রাস্তায় শহরের মতো আলো জ্বলে। ছেলেমেয়েরা পেয়েছে খেলার মাঠ। দূরের স্কুলে যাওয়ার জন্য ছাত্রীরা পেয়েছে বাইসাইকেল। গড়ে তোলা হয়েছে বিনোদন কেন্দ্র যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বেলা শেষে’।
গ্রামের শ্রমজীবী মানুষ দিনশেষে একটু বিনোদন পেতে আসছেন এ বিনোদন কেন্দ্রে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা উপভোগের জন্য গ্রামে বিনামূল্যে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যবস্থা হচ্ছে সুপেয় পানি ও পাঠাগারের। এক কথায় দোয়ারপাড়া গ্রামের মানুষ এখন শহরের অনেক সুবিধা পাচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল ‘গ্রাম হবে শহর’। আমরা সরকারের সে অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। গ্রামীণ জনপদে শহরের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলেই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি বিষয়ক) মো. মোকাম্মেল হোসেন এসেছিলেন দোয়ারপাড়া গ্রামে। তিনি গ্রামের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখে অভিভূত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সীমিত সম্পদের ব্যবহারে গ্রামের এমন পরিবর্তন না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন গ্রামের যে পরিবর্তন করেছে তা অভাবনীয়। ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়নে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ সফল হলে চুয়াডাঙ্গার দোয়ারপাড়া গ্রাম হবে বাংলাদেশের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
এমএইচ/
আরও পড়ুন