ঢাকা, বুধবার   ০২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বেনাপোল বন্দরে কোটি টাকার আমদানি পণ্য আগুনে পুড়ে ছাই 

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:৩৪, ২৭ আগস্ট ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩৫ নম্বর কেমিক্যাল শেডে মঙ্গলবার সকালে আগুন লেগে কোটি টাকার আমদানি পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 

এ সময় বন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট, বন্দরের শ্রমিকরা এক যোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখে। পরে বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে। 

কিভাবে আগুন লেগেছে কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছে না। তবে বন্দর শেডের মধ্যে রাখা দাহ্য কেমিক্যালের থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। 

এ ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষ ৭ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করে ঢাকায় পাঠিয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদনের পর তদন্ত করা হবে। তদন্তের পর আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।  আগুন লাগা ৩৫ নম্বর শেড বন্দরের পরিচালকসহ ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। 

গোডাউন ইনচার্জ মনির হোসেন জানান, এখানে লিকুইট কেমিক্যাল ছিল। গোডাউন খুলেই ভিতরে আগুন দেখতে পেয়ে বন্দর পরিচালক ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। বন্দর শ্রমিক ও আনসার সদস্যরা পাশের গোডাউন থেকে আগুন নিভানো গ্যাস এনে আগুনে নিক্ষেপ করলে আগুন অনেকটা কমে আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন পরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কিভাবে আগুন লেগেছে সঠিকভাবে বলতে পারছিনা।

বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ সুমন হোসেন বলেন, বেনাপোল বন্দরের ৩৫ নং গোডাউনের আগুন এক ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে কিভাবে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক প্রদোষ কান্তি দাস জানান, আগুন এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। কিভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্ত না করে কিছু বলা যাবে না। ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন এলে তদন্ত কাজ শুরু করা হবে। আগুন লাগার ঘটনাটি বন্দর চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে কি কারণে আগুন লেগেছে ও কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যাবে বলে জানান তিনি।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি