মাঠে বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু`গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১
প্রকাশিত : ১৯:০২, ৩১ আগস্ট ২০১৯
জয়পুরহাটের কালাইয়ে জনসাধারণের চলাচলের পথ বন্ধ করতে প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিবদমান দুটি গ্রুপের সংঘর্ষে সামছদ্দিন (৫৯) নিহত হয়েছেন। এতে ৯ জন আহত হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার কুসুমসারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই দুই গ্রুপের সমর্থকদের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত সামছদ্দিন কুসুমসাড়া গ্রামের মৃত. ছমির উদ্দিনের ছেলে। আহতরা হলেন, কুসুমসারা গ্রামের তছির উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রশিদ (৫০), একই গ্রামের করিম হোসেনের ছেলে নাছির হোসেন (৩০), আব্দুর রশিদের ছেলে রাসুল (২৪), নিহত সামছদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৮), আব্দুল মোত্তালেবের ছেলে আব্দুল হান্নান (৩৬), সেকেন্দারের ছেলে খায়রুল ইসলাম। নাম অজানা অন্যরা সবাই কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুত্বর আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাতেই জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। চিকিৎসা চলাকালিন অবস্থায় শনিবার সকাল ১১টার দিকে একজনের মৃত্যু হয়।
তার মৃতুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরার সাথে সাথে ওই দুই গ্রুপের লোকজন আবারও উত্তেজিত হয়ে ওই স্কুল মাঠের দুই পার্শ্বে অবস্থান নেন। বর্তমানে ওই এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শুক্রবার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মাত্রায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হাবিব তালুকদার লজিক সমর্থক কুসুমসাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন তার লোকজনদের নিয়ে বিদ্যালয় মাঠ দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের পথ বন্ধ করতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে বেড়া দেয়।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন সমর্থক ও গ্রামবাসী মিলে তাদের দেওয়া ওই বাঁশের বেড়া খুলে দিতে যায়। তখন উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে তারা লাঠি-সোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত হয় কমপক্ষে ১০ জন। গুরুতর আহতদের রাতেই জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। আহতের মধ্যে সামছদ্দিনের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে বগুড়ায় একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালিন অবস্থায় শনিবার সকাল ১১ টার দিকে সে মারা যায়।
নিহত সামছদ্দিনের বড় ছেলে মাবুদ হোসেন বলেন, মিলন সমর্থকরা স্থানীয় জামায়াত-বিএনপির লোকজনদের সাথে মিশে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি ওদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করবো। বাবা হত্যার বিচার চাই আমি।
সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ও আহতের বিষয় নিশ্চিত করে কালাই থানার ওসি তদন্ত আব্দুল মালেক জানান, বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে। ওই এলাকায় এখন স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। আর মামলার প্রস্তুতিও চলছে।
কেআই/
আরও পড়ুন