ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

পুলিশের বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ 

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ২১:১৪, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

যশোরে শার্শা উপজেলার পল্লীতে পুলিশ ও সোর্সের বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূ (৩০) ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।মঙ্গলবার দুপুরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে কোলের শিশু সন্তানসহ ধর্ষণের পরীক্ষা করানোর জন্য এলে বিষয়টি প্রকাশ হয়।

সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্য হলেন শার্শা উপজেলার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খায়রুল ও তার সোর্স কামারুল। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন।

হাসপাতালে ওই গৃহবধূ বলেন, গত ২৫ আগষ্ট এসআই খায়রুল আমার তার স্বামীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে ফেনসিডিল দিয়ে চালান দেওয়া হয়।আগে আমার স্বামী চোরাচালানিদের পণ্য বহন করতো। কিন্তু এখন কৃষি কাজ করে। এরপর মঙ্গলবার ভোররাত আড়াইটার দিকে এসআই খায়রুল, সোর্স কামারুল এবং গ্রামের লতিফ ও কাদের নামে চারজন এসে আমাকে ডাকাডাকি শুরু করে। আমি এতরাতে দরজা খুলতে না চাইলে তারা বলে স্বামীর মামলার ব্যাপারে পুলিশ কথা বলবে। তখন আমি দরজা খুলে দেই। দারোগা খায়রুল আমাকে বলে ৫০ হাজার টাকা দিলে আমার স্বামীর মামলা হালকা করে দেবে। সে সময় আমি বলি বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ফেনসিডিল দিয়ে চালান দিয়েছেন।এখন বলছেন টাকা দিলে হালকা হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এনিয়ে তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। তখন খায়রুল ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীলভাবে গালাগালি করে।এরপর খায়রুল ও কামারুল আমাকে ধর্ষণ করে চলে যায়।তারা চলে গেলে এ ঘটনা এলাকাবাসিকে জানালে তারা আমাকে মামলা করার পরামর্শ দেয় এবং বলে মামলা করতে হলে আগে হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করাতে হবে।এ কারণে আমি থানায় না যেয়ে সোজা হাসপাতালে চলে আসি।
 
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহম্মেদ জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই নারী জরুরী বিভাগে আসে। জরুরী বিভাগ থেকে আমাকে জানানো হয় ওই নারী বলছে পুলিশ কর্তৃক সে ধর্ষিত হয়েছে। তাকে আমার কাছে আনলে জানতে চাই সে ভর্তি হবে না পরীক্ষা করাবে। তখন সে আমাকে বলে পরীক্ষা করাবে। এ ধরনের পরীক্ষা আমরা পুলিশের মাধ্যমে না আসলে করতে পারিনা। তখন আমি পুলিশকে জানাই। পরে কোতয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান তাকে পুলিশ সুপারের কাছে নিয়ে গেছেন।

পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, অভিযোগ গুরুতর। মহিলাকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে কয়েকজন সিনিয়র অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা প্রমাণিত হলে পুলিশ হোক আর যেই হোক কোন ছাড় পাবেনা। 

এদিকে শার্শা থানার একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, দুপুরের পর পরই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে এসআই খায়রুল ও জনৈক পুলিশ কনস্টেবলকে গোড়পাড়া ফাঁড়ি থেকে যশোর এসপি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কেআই/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি