ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৩৭, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৬:১৬, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজ বাড়ি থেকে কাটাখালি থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। 

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম কাটাখালি আদর্শ কলেজের শিক্ষক। তার বাড়ি কাটাখালি পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামে। গত পৌরসভা নির্বাচনে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম কাটাখালি পৌরসভার মেয়র প্রার্থী ছিলেন। এছাড়াও অধ্যাপক সিরাজুল শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। সম্প্রতি এ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নির্বাচিত হন।

কাটাখালি থানার ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে কাটাখালি আদর্শ কলেজের এক ছাত্রী থানায় গিয়ে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় রাতেই তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

কাটাখালি থানা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে কাটাখালি পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী নিজের গাড়িতে করে আদর্শ কলেজের একটি ছাত্রীকে নিয়ে থানায় যান। এরপর ওই ছাত্রী সিরাজুলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ গিয়ে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

কাটাখালি পৌরসভার মেয়রের ষড়যন্ত্রে ভিত্তিহীন অভিযোগে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আরেক সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন। 

তিনি বলেন, কাটাখালি পৌরসভার গত নির্বাচনে সামান্য ভোটে মেয়র আব্বাস আলীর কাছে পরাজিত হন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম। আগামী নির্বাচনেও তিনি মেয়র প্রার্থী হবেন। এছাড়াও সম্প্রতি শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচন নিয়ে মেয়র আব্বাসের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব হয়। এর জের ধরে সিরাজুল ইসলামকে সাজানো মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপি নেতা গোলাম মোস্তফা মামুন। তিনি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে মেয়র আব্বাস আলী ও অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামের প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এ নির্বাচনে আটটি পদেই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল ইসলামের প্যানেল বিজয়ী হয়। 

সূত্রগুলো আরও জানায়, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোটে ওই স্কুলের সভাপতি নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু মেয়র আব্বাস তার পক্ষের একজনকে সভাপতি করার জন্য সিরাজুল ইসলামকে প্রস্তাব দেন। মেয়রের সে প্রস্তাবে সিরাজুল ইসলাম রাজি হননি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়। যার কারণে পরিচালনা কমিটির ভোটের একমাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও সভাপতি পদে নির্বাচন হয়নি।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি