যশোরে পুলিশ কর্তৃক ধর্ষণের মামলা পিবিআই হস্তান্তর
প্রকাশিত : ২৩:১৪, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
যশোরের শার্শার লক্ষণপুরে ঘুষ না পেয়ে ‘আসামির’ স্ত্রীকে গণধর্ষণের মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলার নথিপত্র পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদার বিষয়টি নিশ্চত করেন। মামলার নথিপত্র পেয়ে তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে পিবিআই।
পিবিআই যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএমএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, শার্শার লক্ষণপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার নথিপত্র আজ দুপুরে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে উপপরিদর্শক (এসআই) মোনায়েম হোসেনকে।
মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করা হলেও একজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ওই অজ্ঞাত আসামি-ই এসআই খায়রুল নাকি অন্য কেউ তা নিয়ে তোলপাড় চলছে।
মামলা হস্তান্তর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পিবিআই যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে। সেগুলো সম্পন্ন করেই তদন্ত শুরু হবে। অচিরেই প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
ধর্ষিতা গৃহবধূর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, হতে পারে সেদিন ভিকটিম ভয়ে এসআই খায়রুলের নাম বলেননি। কনফিউশন ছিল বলেই মামলায় একজন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় খায়রুল জড়িত, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো ব্যক্তির দায় সংস্থা বহন করবে না।
তিনি বলেন, ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেয়া হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথম থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর এলাকায় ওই গৃহবধূর বাড়িতে ২ সেপ্টেম্বর গভীররাতে যান এসআই খায়রুলসহ চারজন। তারা এ সময় ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে খায়রুল ও কামরুল তাকে ধর্ষণ করেন বলে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন। ধর্ষণে সহায়তা করেন আরও দুইজন।
পরদিন গৃহবধূ যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। ওইদিন রাতেই শার্শা থানায় মামলা করেন গৃহবধূ। মামলায় এসআই খায়রুলের নাম রাখা হয়নি। আসামি করা হয়েছে পুলিশের সোর্স কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল, লক্ষণপুর এলাকার আবদুল লতিফ এবং আবদুল কাদেরসহ চারজন। ঘটনা তদন্তে শার্শা থানার ওসি (তদন্ত) আল ফরিদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি তদন্তও শুরু করেছিলেন। বৃহস্পতিবার মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তরর করা হয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহমেদ জানিয়েছিলেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তবে, সেখানে কার কার সিমেন (বীর্য) রয়েছে তা জানতে ডিএনএ টেস্ট প্রয়োজন।
আরকে//
আরও পড়ুন