টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ রোহিঙ্গা নিহত
প্রকাশিত : ০৮:৩১, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ডাকাতসহ দুইজন নিহত হয়েছে। নিহত দুইজনই যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।
নিহতরা হলো- মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু উপজেলার বুসিদং ইউনিয়নের হাসুরতা গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জমির আহমদের ছেলে মো. আব্দুল করিম (২৪) ও মিয়ানমারের একই ইউনিয়নের পুইমালী গ্রামের বাসিন্দা এবং একই ক্যাম্পের সৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহমদ (২৭) ওরফে নেছার ডাকাত। নিহত দুইজনই যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি। ওই ঘটনায় এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের সংখ্যা ৬ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহত সবাই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
টেকনাফ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যার মামলার আসামিরা টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা চাইল্ড ফেন্ডলী স্পেস অফিসের পিছনে পাহাড়ের উপরে পানির ট্যাংকির নিচে অবস্থান করছে। এ খবরে টেকনাফ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে একদল অস্ত্রধারী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে ঘটনাস্থলে এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন (৩৫), কনষ্টেবল নাবিল (৩০) ও রবিউল ইসলাম (৩৩) আহত হয়। এসময় কোনও উপায়ন্তর না দেখে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি করে এগিয়ে যায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন ও রোহিঙ্গরা এগিয়ে আসলে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন ও রোহিঙ্গা মাঝিদের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ দুই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, ৭ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে গুলিবিদ্ধ উদ্ধার দুই যুবকের পরিচয় উপস্থিত রোহিঙ্গা মাঝিদের সহায়তায় সনাক্ত করা হয়েছে। মৃতদেহ দুইটি ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন