ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

রাস্তা নাকি খাল!

এমএ বশার, বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ২০:৪৮, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মাটির রাস্তায় মাটি নেই। মাটি ধুয়ে মিশে গেছে পাশের ধান ক্ষেতে। কোথাও আবার বড় গর্ত হয়ে পানিতে সয়লাব। এটা রাস্তা নাকি খাল দেখে বুঝার উপায় নেই। পটুয়াখালীর বাউফলের রাজাপুর গ্রামের হিজবুল্লাহর বাজার থেকে ঈদগাহ মাঠ ঘেসে জাকেরাবাদ হোসেন গাজীবাড়ি পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার এমন বেহাল দশা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, এ রাস্তায় যানবাহন তো দূরের কথা প্রতিদিন চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় চার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। প্রায় এক যুগ আগে এ মাটির রাস্তাটি নির্মাণের পর আর কখনও মেরামত করা হয়নি। এখন রাস্তার মাটি ধুয়ে গিয়ে মিশে গেছে পাশের ফসলের ক্ষেতে। এতে আবদুল করিম মৃধা বাড়ির সামনের বিশাল অংশসহ অধিকাংশ স্থানে পানি জমে থাকে। 

আব্বাস উদ্দিন নামে স্থানীয় একজন বলেন, ‘বর্ষার পুরো মৌসুম এভাবেই পানিতে তলিয়ে থাকে রাস্তাটি। বৃষ্টি হলেই নূরুল ইসলাম খা বাড়ির সামনে ও দক্ষিণ-পশ্চিম ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন এলাকা তলিয়ে দুর্ভোগের সীমা থাকে না স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় পাঁচ গ্রামের হাজারো মানুষের।’ 

স্থানীয় কয়েকজন জানান, তিন স্কুলসহ পাঙ্গাশিয়া, সিটকা, জাকেরাবাদ, আনারকলি, পাতিলা পাড়া গ্রামের হাজারো মানুষ যাতায়ত করেন এ রাস্তা দিয়ে। দলিল উদ্দিন মৃধা নামে ষাটোর্ধ এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘মাটি সরে যাওয়ায় গ্রীষ্মকালেও রাস্তাটিতে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এতে মাথায় তুলেই ব্যাবসায়িক মালামাল আমাদের বয়ে আনতে হয়।’ 

কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নেছার উদ্দিন সিকদার বলেন, ‘ওই রাস্তায় যাতায়তে দুর্ভোগে পড়তে হয় জনসাধারণের। রাস্তাটি পাকাকরণের ব্যাপারে উপজেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে। আশা করি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবে।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাগবে রাস্তাটির সংস্কারে উন্নয়ন সভায় শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এমএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি