রোহিঙ্গাদের জন্য এনআইডি সংগ্রহ, ইসি কর্মীসহ গ্রেফতার ৩
প্রকাশিত : ১৯:৪৬, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
চট্টগ্রামে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেয়ার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন অফিসের এক কর্মচারীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছে, এমন ঘটনা প্রকাশের পর তদন্তে নামে নির্বাচন কমিশন। তদন্তে দেখা যায়, নির্বাচন অফিস থেকে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ ব্যবহার করে রোহিঙ্গারা এনআইডি যোগাড় করছে। এরপর অভিযানে নামে পুলিশ। সোমবার রাতে আটক হয় ইসি কর্মী জয়নাল ও গাড়ি চালক বিজয় দাশ এবং তার বোন সীমা দাশসহ ৩ জন।
এর আগে, ডবলমুরিং থানার নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদী হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ও ডিজিটাল আইনে মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার বাকি আসামইরা হলেন স্থানীয় নির্বাচন কার্যালয়ের সাবেক টেকনিশিয়ান সাগর ও সত্য সুন্দর দে।
চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন অফিসের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান জানান, দীর্ঘ তদন্তের পর এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় অফিস সহায়ক জয়নালসহ কয়েজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
নির্বাচন কার্যালয়ের এনআইডি শাখার সাবেক আইটি এক্সপার্ট সাগর, চাকরিচ্যুত ডাটা এন্ট্রি টেকনিশিয়ান সত্য সুন্দরসহ বিভিন্ন জনের সঙ্গে যোগসাজশে জয়নাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করত বলে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে।
সোমবার রাতে আটক হওয়া জয়নাল আবেদিনের কাছ থেকে ২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে খোয়া যাওয়া একটি ল্যাপটপ জব্ধ করা হয়। এ ল্যাপটপের মাধ্যমে জয়নাল সরকারি ছুটির দিনে বাসায় বসে ডিএসএলআর ক্যামেরা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, স্ক্যানার ও সিগনেচার প্যাড দিয়ে অবৈধভাবে এনআইডি তৈরির কাজ করতো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এনএস/
আরও পড়ুন