ধর্ষণ ও থানায় বিয়ে:
পাবনায় প্রত্যাহার হওয়া ওসি সাময়িক বরখাস্ত
প্রকাশিত : ২১:৩৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক। যিনি তিন সন্তানের জননী গৃহবধূকে ধারাবাহিক ধর্ষণ ঘটনায় মামলা না নিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষকের সঙ্গে থানায় বিয়ে দিয়ে প্রত্যাহার হয়েছিলেন। এবার ওবায়দুলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। বুধবার বিকেলে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, পুলিশ মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারীর পক্ষে সহকারী মহাপরিদর্শক (পারসোনাল ম্যানেজমেন্ট) আব্দুল্লাহিল বাকী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে ফ্যাক্স বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে ওবায়দুল হককে চট্রগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্তির কথাও জানানো হয়েছে ঐ পত্রে।
জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামে গত ২৯ আগস্ট রাতে এক নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে রাসেল হোসেন নামের এক যুবক। পরে ঐ নারীকে ধর্ষণ করে রাসেলের সহযোগীরা। এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা না নিয়ে থানায় অভিযুক্ত যুবক রাসেলের সাথে ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলামের নির্দেশে গত ৯ সেপ্টেম্বর মামলা নথিভুক্ত ও জড়িত ৫ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পুলিশী তদন্তে এ ঘটনায় ওসি ওবায়দুল হক এবং উপপরিদর্শক (এসআই) একরামুল হকের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে।
প্রাথমিকভাবে পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম গত ১২ সেপ্টেম্বর ওসিকে প্রত্যাহার ও এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। তদন্ত রিপোর্ট পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানোর পর প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা শেষে ওসি ওবাইদুল হককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করে পুলিশ সদর দপ্তর।
এছাড়া এই ঘটনায় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নির্দেশে গঠিত জেলা প্রশাসনের তদন্ত দলের প্রতিবেদনেও ধর্ষণ ও ধর্ষকের সাথে বিয়ে দেয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি ইতিমধ্যে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ।
এমএস/কেআই
আরও পড়ুন