‘বৈশ্বিক উষ্ণতায় আবহাওয়া ও জলবায়ু বৈরি হয়ে উঠছে’
প্রকাশিত : ১৫:৪১, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
সাতক্ষীরায় বেসরকারি পর্যায় থেকে শুরু হয়েছে ‘বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মর্সূচি সপ্তাহ’। আজ শুক্রবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। এতে বলা হয় নিউইয়র্কে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে ‘জাতিসংঘের ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিট’। এই সামিটে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বেসরকারি সংস্থা ‘লিডার্স’ এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে আবহাওয়া ও জলবায়ু বৈরি হয়ে উঠছে। ভূপৃষ্ঠ অতিমাত্রায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় পানিতে ও জমিতে বাড়ছে লবনাক্ততা। জলাবদ্ধতা ও লবনাক্ততার পাশাপাশি প্রকৃতি নিচ্ছে রুদ্র রূপ। ফলে ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও নদী ভাঙ্গন উপকূলীয় জেলাগুলির বাসিন্দাদের বারবার বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
এখানকার জীবন, প্রকৃতি, পানি, কৃষি, প্রাণি ও সুন্দরবনের মাটি এমনকি স্বাস্থ্যের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে। বিশ্বব্যাপী একই ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে আসছে। এ প্রসঙ্গে ধনী দেশগুলির অতিমাত্রায় কার্বন নিঃসরণকে দায়ী করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এভাবে কার্বন নিঃসরণ হতে থাকলে এক সময় মানবজীবন ও প্রাণী জগত ঝুঁকির মুখে পড়বে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে মানবজীবনের ক্ষতি নিয়ে ১৯৯৫ সালে জার্মানির বার্লিনে শুরু হয় জলবায়ু সম্মেলন। এরপর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গত ২৪ বছরে ২৪টি সম্মেলন হলেও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলি যেমন কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি, তেমনি কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে কার্যকর ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়নি।
২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিশ্বব্যাপী ক্ষতি তো কমেইনি বরং তা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেড়েছে। যার কুফল ভোগ করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীকে বাঁচানোর তাগিদ দিয়ে সুইডেনের ১৬ বছর বয়সী স্কুল ছাত্রী গ্রেটা থানবার্গ গড়ে তুলেছেন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’। গত মার্চে গ্রেটার আহ্বানে বিশ্বের ১০০টি শহরের ১৪ লাখ ছাত্রছাত্রী পথে নেমে এসেছিল।
গ্রেটা থানবার্গ এবার ছোট নৌকায় নিউইয়র্ক পৌঁছে গেছেন। তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটে যোগ দিয়ে পৃথিবীকে রক্ষার জোর তাগিদ দেবেন। তার ডাকে এরই মধ্যে বিশ্বের ৪০০টি শহরে এক কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী পথে নেমে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জলবায়ু সপ্তাহের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে স্কুল ধর্মঘট, পদযাত্রা, যুবদের কর্মশালা, সাইকেল র্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রতীকী গণ আদালত, মানববন্ধন এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি পেশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কর্মসূচি সপ্তাহের আহ্বায়ক মাস্টার নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী প্রমুখ।
আই/
আরও পড়ুন