বি.বাড়িয়ায় ধরা পড়ল ভুয়া চিকিৎসক
প্রকাশিত : ২০:২৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে রোগী দেখতেন মোঃ হেলাল উদ্দিন সিদ্দিক নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে কখনও হৃদরোগ, কখনও মেডিসিন, কখনও চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে রোগী দেখতেন শহরের পাইকপাড়ায় (রামকানাই হাই একাডেমী রোড) দি শাহজালাল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
সোমবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হেলাল উদ্দিন সিদ্দিককে তার চেম্বার থেকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত। পরবর্তীতে তাকে সতর্ক করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান ও এশনা পাল উপস্থিত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হেলাল উদ্দিন সিদ্দিক নিজেকে কখনও হৃদরোগ, কখনও মেডিসিন এবং কখনও চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিতেন। এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয়ে গত কয়েক মাস ধরে শহরের পাইকপাড়া রামকানাই হাই একাডেমী রোডের দি শাহজালাল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সনদ্বীপ তালুকদার জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদন ছাড়াই হেলাল উদ্দিন সিদ্দিক বে-আইনিভাবে রোগী দেখে আসছিলেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বিএমডিসির সনদপত্র দেখাতে না পারায় সোমবার তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি বিএমডিসির সনদ পেতে হাইকোর্টে একটি রিটের কাগজ দেখান। সেজন্য তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে হাইকোর্টের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে নিষেধ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহআলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, হেলাল উদ্দিন সিদ্দিক এক ভুয়া চিকিৎসক। তার কাছে বিএমডিসির অনুমোদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র নেই। হাইকোর্টে তিনি রিট করলেও তিনি বিএমডিসির কোন অনুমোদন পাবেন না। কারণ তিনি চিকিৎসক নন। তিনি ভুয়া।
এনএস/
আরও পড়ুন