বেনাপোলে ৩ বাংলাদেশি কিশোরীকে হস্তান্তর
প্রকাশিত : ১৬:৩৭, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার হওয়া তিন বাংলাদেশি কিশোরীকে স্বদেশ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। বর্তমানে তারা এনজিও সংস্থা জাস্টিজ এন্ড কেয়ার নামে যশোরের একটি শেল্টার হোমের আশ্রয়ে আছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা যৌথভাবে তাদেরকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন।
মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিজ এন্ড কেয়ার যশোর প্রতিনিধি মুহিত হোসেন ও পাচারের শিকার কিশোরী জানায়, পরিবারে অভাব অনটনের সুযোগ নিয়ে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হয় যশোরের অভয়নগরের সাথীর।
শ্বশুরবাড়ির পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিয়ের এক মাসের মাথায় তাকে ভারতে পাচার করা হয়। ট্রেনের মাধ্যমে ভারতে পাচার হওয়ার ব্যাপারটি বুঝতে পেরে সেখানেই সে কান্নাকাটি শুরু করলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়ার পর গত ৭ মাস ভারতের সুকন্যা নামের একটি শেল্টার হোমের আশ্রয়ে ছিল সাথী।
অপর দিকে এক বছর আগে দালালের প্রলোভনে ভাল কাজের সন্ধানে দুই মেয়ে হেনা আক্তার (১৩) ও তানিয়া (১০) কে সাথে নিয়ে ভারতে যান পিরোজপুরের ইন্দুরকানি এলাকার নান্টু ফারাজির স্ত্রী। এ সময় পুলিশ তাদের আটক করে। পরে মায়ের আশ্রয় হয় জেলে ও মেয়েদের আশ্রয় হয় শেল্টার হোমে।
সেখান থেকে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় স্বদেশ প্রত্যাবাসন আইনে মেয়েরা দেশে ফেরার সুযোগ পেলেও মা থেকে যায় ভারতের কারাগারে। সাজা শেষ হলেই মুক্তি মিলবে তার।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এনজিও কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আই/
আরও পড়ুন