আশুলিয়ায় রবিউল হত্যার ঘটনায় ৩ ডাকাত গ্রেফতার
প্রকাশিত : ১১:৪০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৩:৪৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশ থেকে হানিফ পরিনহনের কাউন্টার সুপারভাইজর রবিউল ইসলাম হত্যাকান্ডের ঘটনায় আন্তঃজেলা পরিবহন ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে সিসিটিভির ভিডিও চিত্র ও মুঠোফোনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুনিদের অবস্থান জেনে সাভারের হেমায়েতপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার সেনাটি শিকদার মার্কেট এলাকার মৃত. আলম খাঁ’র ছেলে কবির হোসেন রুবেল (৩০), ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর এলাকার আ. গিয়ান মিয়ার ছেলে রবিউল (২০) ও একই এলাকার মতি মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া নূর আলম হোসেনের ছেলে সাজিব হোসেন (২৪)।
নিহত রবিউল ইসলাম আশুলিয়ার সিন্দুরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি বাইপাইলে হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে সুপারভাইজর হিসেবে কাজ করতেন এবং পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তছলিম হোসেন এ প্রতিবেদকে জানান, বাইপাইলসহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি’র ভিডিও চিত্র দেখে প্রথমে রবিউলের বহনকারী আল-আমিন পরিবহনের বাসটিকে সনাক্ত করা হয়। এরপর শনিবার রাতে হেমায়েতপুর এলাকায় আল-আমিন পরিবহনের ভেতরে গাজা সেবন অবস্থায় তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা পুলিশের নিকট হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলেও তিনি জানান।
সুপারভাইজার রবিউলকে হত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি আটককৃতদের বরাত দিয়ে বলেন, রবিউল প্রথমে নিজেকে পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেন। ডাকাতদের ধারনা ছিলো রবিউলকে ছেড়ে দিলে তারা ধরা পড়তে পারেন। এ আশঙ্কায় তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আরো যারা জড়িত আছেন, তাদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যহত আছে বলে জানান তিনি।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন,আটকৃতরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। ডাকাতদের ব্যবহৃত আল-আমিন পরিবহনের বাসটিও জব্দ করা হয়েছে। বাসটি অবনী নিট ওয়্যার লিঃ নামের পোশাক কারাখানার শ্রমিক বহন করতো। ডাকাতির উদ্দেশ্যেই পরিবহনটি ব্যবহৃত হচ্ছিল। পরিবহন ডাকাতিতে এ ধরনের বাসই বেশি ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা-আচিরা মহাসড়কের জাহাঙ্গীরনগর বিম্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের বিপরীতে ডেইরি ফার্মের সীমানা প্রাচীরের নিকট রবিউল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পরিবারের সদস্যরা রবিউলকে না পেয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করতে গিয়ে রবিউলের লাশ দেখে সনাক্ত করে। পরে, পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করলে আসামীদের গ্রেফতারে মাঠে নামে পুলিশ।
আই/
আরও পড়ুন