বরগুনায় ইলিশ উৎসব বুধবার
প্রকাশিত : ১৭:১৮, ১ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ১৭:১৯, ১ অক্টোবর ২০১৯
‘ইলিশের জেলা বরগুনা’-এ স্লোগান নিয়ে আগামীকাল বুধবার জেলার সার্কিট হাউজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ইলিশ উৎসব। বরগুনা জেলা প্রশাসন ও জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম এ উৎসবের আয়োজন করছে।
ইলিশ উৎসবকে সামনে রেখে আজ বেলা ১১টায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বরগুনা-১ আসনের সাংসদ এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর কবির, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ আবদুর রশিদ মিয়া, জেলা এনজিও ফোরামের সভাপতি আবদুল মোতালেব মৃধা, প্রেসক্লাবের সভাপতি চিত্তরঞ্জন শীল ও জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মনির হোসেন কামাল।
সারা বাংলাদেশে যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায়, তার ৫ ভাগের এক ভাগ ইলিশ আহরিত হয় শুধুমাত্র বরগুনা জেলা থেকে। বরগুনার জেলার অর্ন্তগত পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর ইলিশ অত্যন্ত সুস্বাদু। পাশাপাশি রয়েছে বঙ্গোপসাগরের ইলিশ। গত এক বছরে বরগুনায় ৯৫ হাজার ৯৩৮ মে.টন ইলিশ আহরিত হয়েছে।
দিনব্যাপী ইলিশ উৎসবে থাকছে বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, ইলিশের ওপর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন, সাধারণ জ্ঞানের প্রতিযোগিতা, ইলিশ বিষয়ক নাটক, পুঁথি পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং স্বল্পমূল্যে ইলিশ কেনার সুযোগ ও রান্না করা ইলিশের বাহারি খাবার।
ইতিমধ্যেই তাজা ইলিশের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম দামে কেনা যাবে বঙ্গোপসাগরের ইলিশ। ৫০০ গ্রাম থেকে ৭৯৯ গ্রাম পর্যন্ত প্রতি কেজি ইলিশ কেনা যাবে ৪০০ টাকায়। ৮০০ গ্রাম থেকে ৯৯৯ গ্রাম পর্যন্ত প্রতি কেজি ৬০০ টাকা ও এক কেজির উপরের ইলিশ বিক্রি হবে ৮৫০ টাকায়।
পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর ইলিশের দাম সামান্য একটু বেশি। ৫০০ গ্রাম থেকে ৭৯৯ গ্রাম পর্যন্ত প্রতি কেজি ইলিশ কেনা যাবে ৫৫০ টাকায়। ৮০০ গ্রাম থেকে ৯৯৯ গ্রাম পর্যন্ত প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা ও এক কেজির উপরের ইলিশ বিক্রি হবে ১০০০ টাকায়।
বরগুনার ইলিশকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তুলতে ও ইলিশের ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বরগুনায় দেশি-বিদেশি পর্যটককে ইকো ট্যুরিজমে আকৃষ্ট করার পাশাপাশি মৎস্য খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ সংরক্ষণে জনসচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, আকার আকৃতি, বর্ণ ও স্বাদে অতুলনীয় ইলিশ বাঙালির রন্ধনশিল্পে এক আভিজাত্যপূর্ণ অবস্থান তৈরী করে নিয়েছে। বরগুনায় একটি ইলিশ গবেষণা কেন্দ্র ও ইলিশ মিউজিয়াম স্থাপনের দাবি উত্থাপন, মৎস্যজীবীদের সাথে সর্বস্তরের জনগণের মেলবন্ধন, মাছ ধরার নৌকাসমূহকে আধুনিকায়ন, ইলিশ অবতরণের ঘাটসমূহকে আরো আধুনিক সুযোগসুবিধা বাড়ানোর জন্য ইলিশ উৎসব থেকে দাবি জানানো হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবারের মতো বরগুনায় ইলিশ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং আগামীকালের ইলিশ উৎসবকে সফল করতে চলছে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি। তৈরী করা হচ্ছে ইলিশ মঞ্চ ও রং বেরঙের বাহারি স্টল। চলছে সাঁজসজ্জার কাজ। এ উৎসবে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আই/কেআই
আরও পড়ুন