আকলিমাকে ধর্ষণের পর রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়
প্রকাশিত : ২২:১১, ১ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ২২:১২, ১ অক্টোবর ২০১৯
ফরিদপুরে চাঞ্চল্যকর আকলিমা হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে শহরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮ এর অধিনায়ক শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগের নেতৃত্বে মোঃ আনিস শেখ (৩০) নামের ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত অনিসের বাড়ি রাজবাড়ি জেলার কালুখালি উপজেলার মোহনপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত আব্দুল কুদ্দুস শেখ।
এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপর আসামি মোঃ রাসেল দেওয়ানকে (১৫) গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা উভয়েই আকলিমা হত্যাকাণ্ডে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি র্যাবের।
র্যাব জানায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আসামিগণ আকলিমাকে হত্যার উদ্দেশে রাজবাড়ির কালুখালি থেকে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়ে ফরিদপুরে উদ্যেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ করে আকলিমাকে ফরিদপুর শহরতলীর শিবরামপুর এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয় তারা। মাইক্রোবাসে তোলার আগে ছালাম নামের এক যুবক মাইক্রোবাসের পেছনের সিটে (ডালায়) লুকিয়ে থাকে। পরে আনিস চলন্ত মাইক্রোবাসে আকলিমাকে ধর্ষণ করে।
র্যাব আরও জানায়, ধর্ষণের পর ছালাম মাইক্রোবাসের পেছনের ডালা থেকে বের হয়ে লোহার রড দিয়ে মারপিট শুরু করে এবং এক পর্যায়ে আনিসও কিল ঘুষি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আকলিমাকে হত্যা করে। পরে তারা আকলিমার লাশ নিয়ে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে ফরিদপুর শহরের সিএন্ডবি ঘাট এলাকায় ফেলে দেয়। পরে সকলে মাইক্রোবাস নিয়ে মধুখালী ও বালিয়াকান্দি হয়ে কালুখালী পৌঁছায়।
র্যাব জানায়, আনিস, ছালাম ও রাসেল কালুখালি তেল পাম্প থেকে তেল নিয়ে আনিসের বাড়ির সামনে নদীর ধারে রেখে পানি দিয়ে গাড়ি ধুয়ে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ভ্যানিটি ব্যাগ নদীর ধারে ফেলে দেয়। এরপর তারা গাড়ির মালিককে গাড়ি বুঝিয়ে দিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়।
এদিকে গ্রেফতারের সময় আসামিদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত আসামিকে কোতয়ালী থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় র্যাব। ঘটনার পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে শহরতলীর সিএনবি ঘাট এলাকার স্বজনী রায়ের ডাঙ্গি গ্রাম থেকে আকলিমার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এনএস/
আরও পড়ুন