ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাড়ির আঙিনায় চিরনিদ্রায় শায়িত আবরার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৪, ৮ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ১১:৫০, ৮ অক্টোবর ২০১৯

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালেয়ে (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে জানাজা শেষে রায়ডাঙ্গা পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এদিন সকালে শহরের পিটিআই রোডের বাসার সামনে আবরারের দ্বিতীয় জানাজা হয়। এতে স্বজন ও প্রতিবেশীসহ এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হয় গ্রামের বাড়ি কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে।

এর আগে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আবরারকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের বাসার সামনে পৌঁছায়।

এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তার বাবা-মাসহ আত্মীয়স্বজন। আবরারের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউ।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি