রোহিঙ্গা ধর্ষণে সেনাদের সম্পৃক্ততা পেলে কঠোর ব্যবস্থা: সেনাপ্রধান
প্রকাশিত : ১৪:৪৪, ১০ অক্টোবর ২০১৯
সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় সেনা সদস্যদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললে অভিযুক্তরা চাকুরিচ্যুত তো হবেই, তাদের সিভিল কারাগারেও পাঠানো হবে। বাহিনী বিষয়টি স্বচ্ছতার সঙ্গে খতিয়ে দেখছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রিতদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণসহ নিরাপত্তার স্বার্থে সবগুলো ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হচ্ছে বলেও জানান সেনাপ্রধান।
বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া সেনানিবাসের ষষ্ঠ সাঁজোয়া কোরের পুনর্মিলনী আয়োজনে অংশ নেয়ার পর গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনীতে অস্বচ্ছতার কোনো সুযোগ নেই। ধর্ষণের ঘটনাস্থলে শুধু সেনাটহলই ছিল না, অন্যান্য বাহিনীর টহলদলও ছিল। কিন্তু আমরা অভিযোগ আসার সাথে সাথে টহলরত সেনাসদস্যদের ক্লোজড করেছি। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতৃত্বে তদন্ত আদালতও গঠন করা হয়েছে। যদি কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপরাধ ঠেকাতে এবং ক্যাম্প এলাকার নিরাপত্তা বিধানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কথা উল্লেখ করে সেনাপ্রধান জানান, শিগগিরই সাতটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে কাজ শুরু করবে সেনাবাহিনী।
এর আগে সাঁজোয়া কোরের পুনর্মিলনী প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন সেনাবাহিনী প্রধান। সেনানিবাসের আমর্ড কোর সেন্টার ও স্কুলে এই পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে র্ঊর্ধ্বতন সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তারা ছাড়াও আর্মড কোরের অবসরপ্রাপ্ত ও চাকুরিরত কর্মকর্তারা অংশ নেন।
প্যারেড পরিদর্শন শেষে সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, সাঁজোয়া কোরের সদস্যগণ দেশের যে কোনো দুর্যোগময় সময়ে এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। সমর-সম্রাট খ্যাত সাঁজোয়া কোরের আধুনিকায়নে বর্তমান সরকার অত্যাধুনিক যুদ্ধযান ট্যাংক এমবিটি-২০০০ ও রিকোভারি যান সংযোজন করেছে। দেশ এবং দেশের বাইরের যে কোনো হুমকি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান।
আরও পড়ুন