ফরিদপুরে কেরামত হত্যায় ৭ জনের ফাঁসি
প্রকাশিত : ১৬:১৬, ১০ অক্টোবর ২০১৯
ফরিদপুরে ট্রাকচালক কেরামত হাওলাদার (৩৫) হত্যা মামলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত সাত জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। এ সময় আদালত প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় ফরিদপুরের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. সেলিম মিয়ার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে সাত আসামির মধ্যে পাঁচজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুই আসামি পালাতক আছেন।
মামলায় সাজা প্রাপ্তরা হলেন, আব্দুল মোল্যার পুত্র তোফা মোল্যা (২৬), আব্দুল মান্নান ফকিরের পুত্র পলাশ ফকির (৩২), সামছুল হক খালাসির পুত্র সিদ্দিক খালাসি (৩৬), আব্দুল মালেক মাতুব্বরের পুত্র এরশাদ মাতুব্বর (৩২), মৃত মোসলেমের পুত্র সুরুজ ওরফে সিরাজুল খাঁ (২৭), আব্দুল মালেক মাতুব্বরের পুত্র নাইম মাতুব্বর (৩৫), গিয়াস উদ্দিনের পুত্র আনু মোল্যা ওরফে আনোয়ার মোল্যা (২৮)। এদের সকলের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা গ্রামে। এদের মধ্যে নাইম মাতুব্বর ও সুরুজ ওরফে সিরাজুল পলাতক রয়েছে।
নিহত কেরামত হাওলাদার জেলার ভাঙ্গা উপজেলার উত্তর লোহারদিয়া গ্রামের মৃত সামছুল হাওলাদারের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জজ কোর্টের পিপি (ভারপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট দুলাল চন্দ্র সরকার বলেন, ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার উত্তর লোহারদিয়া গ্রামের পিকআপ (ছোট ট্রাক) চালক কেরামত হাওলাদার নিখোঁজ হন। পরদিন ভোরে পার্শ্ববর্তী সলিলদিয়া দিঘলকান্দা বিলের ভেতর থেকে কেরামতের গলা ও পেট কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পরদিন ১৫ ডিসেম্বর নিহতের ভাই ইকরাম হাওলাদার বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে ভাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মোবাইলফোনের কললিষ্টের সূত্র ধরে তোফা মোল্লাকে আটক করলে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী বাকি আসামিদের পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। ওই মামলায় ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
আই/
আরও পড়ুন