রাজশাহীতে পদ্মার ভাঙনে নদীগর্ভে স্কুল
প্রকাশিত : ২২:৫৯, ১০ অক্টোবর ২০১৯
পানির প্রবাহ কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পদ্মায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও শতাধিক একর ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
এছাড়াও ভাঙনের মুখে পড়েছে দুই শতাধিক বাড়ী-ঘর ও আরেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চর বয়ারমারী এলকায় প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে নদীর এই ভাঙন দেখা দেয়।
চর বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রশিদ বলেন, বিদ্যালয়টি নদী ভাঙনের মুখে পড়ায় গত দুই সপ্তহে আগে আসবাব পত্র ও প্রয়োজনীয় জিনিসিপত্র সরিয়ে নেয়া হয়। বুধবার গভীর রাতে বিদ্যালয়টির একটি ভবন নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আরেকটি নতুন ভবন দুই-এক দিনের মধ্যে বিলীন হয়ে যাতে পারে।
তিনি বলেন, এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৪০০ জন। এসব শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ করছে। কর্তৃপক্ষে জানানো হয়েছে। নিরাপদ জায়গায় আপাতত টিন সেডের ব্যবস্থা করার জন্য।
চর আষাড়িয়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, ভাঙনে বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়া ও শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ করার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইমরানুল হক বলেন, নদী ভাঙনে বিদ্যালয়ের একটি ভবন ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আর ভাঙনের মুখে পড়া আরেকটি ভবন রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানানোর হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, পদ্মার পানি নেমে যাওয়ার সময় কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। সে রকম ভাঙনের কবলে পড়েছে পড়েছে মানিকচক বোয়ালমারি এলাকা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই ভবনের ২০০ ফিট দুরে ভাঙন রয়েছে। সেখানে জিও ব্যগ ফেলা হচ্ছে।
আরকে//
আরও পড়ুন