বাউফলে ভাঙ্গনরোধে টেকসই প্রকল্প গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশিত : ১৭:০৭, ১১ অক্টোবর ২০১৯
নদী ভাঙ্গনরোধে টেকসই প্রকল্প গ্রহণের দাবিতে পটুয়াখালীর বাউফলে মানববন্ধন করেছে হাজারও মানুষ।শুক্রবার(১১ অক্টোবর)সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে এই মানববন্ধন করেন কয়েক ইউনিয়নের মানুষ।
এসময় এলজিইডি'র সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. সেলিম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল বারেক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, জেলা পরিষদ সদস্য মো. বাবুল আক্তার, ধুলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. আনিচুর রহমান রব, ধুলিয়া ইউনিয়ন রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি মো. মোফাজ্জল হোসেন মফু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তরা প্রধানমন্ত্রীকে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে টেকসই প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।অন্যথায় আত্মাহুতিসহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আন্দোলনে অংশ নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রতিদিনই নদীর ভাঙনে গ্রাস করছে ভিটাবাড়িসহ ফসলি জমি। নদীর অব্যহত ভাঙ্গনে হারিয়ে যাচ্ছে ধুলিয়া ইউনিয়নের ভূখন্ড।
গত একমাসে তেঁতুলিয়া নদীর ছোবলে বিলিন হয়েছে ধুলিয়া গ্রামের আনছার আলী খা, বারু মিয়া, হালিম মিয়া, নুরু হাওলাদার, খালেক খা, মতি খলিফা, আব্দুল আলী মেম্বর, হুমায়ুন দেওয়ান, সুফিয়া বেগম, সবুজ হাওলাদার, রাজা মিয়াবাড়িসহ অর্ধ-শতাধিক বাড়ি ও কয়েকশ’ পরিবারের কয়েক হাজার একর কৃষি জমি।
বিশাল এলাকা নিয়ে বিলীন হয়ে ধুলিয়া লঞ্চ ঘাটের পন্টুন ভাসছে এখন নদীর মাঝে। দেবে গেছে মসজিদ, মন্দির, দোকানপাটসহ বহু সামাজিক প্রতিষ্ঠান, গাছপালা ও রাস্তাঘাট। ভিটা-বাড়ি আর সহায়-সম্বল হারিয়ে স্কুল মাঠে, আরসিসি রাস্তার পাশে কিংবা পাশের এলাকায় আত্মীয়-স্বজনসহ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বহু পরিবার।
কামলা খেটে কিংবা মানবেতর দিনযাপন করছেন অনেকে।কেউ আবার সাধ্য অনুযায়ী ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছেন অন্য এলাকায়। সব সময় আতঙ্ক বিরাজ করছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার লোকজনের মাঝে। দুর্দশার সীমা-পরিসীমা নেই অনেকেরই। পরিবেশ ও মানব বিপর্যয় ঠেকাতে ভাঙ্গনরোধে টেকসই প্রকল্প গ্রহণের দাবি জানান তারা।
দু’দফা বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় নিরুপায় হয়ে পাশের বেশবপুর ইউপির ভরিপাশা গ্রামের নানা বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া সোহরাব হোসেন প্রায় ১০ কিলোমিটার হেটে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে জানান,‘তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গন থেকে ধুলিয়াসহ বিচ্ছিন্ন চন্দ্রদ্বীপ ও নাজিরপুর ইউনিয়নের নিমদী, ধানদী, ডালিমা, কচুয়া ও তাঁতেরকাঠী এলাকা রক্ষায় শিগগির টেকসই প্রকল্প গ্রহণ করা না হলে বাউফলের মানচিত্র থেকে অচিরেই নিশ্চিহ্ন হবে নদী পাড়ের বিশাল এলাকা।’
আই/কেআই
আরও পড়ুন