ঝালকাঠিতে সাড়াশি অভিযান, ৪ মণ ইলিশ ও অবৈধ জাল জব্দ
প্রকাশিত : ২২:৪৪, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

সরকারি নিষেধাজ্ঞা লংঘন করে ইলিশ শিকার রোধসহ মা-ইলিশ রক্ষায় ঝালকাঠির প্রধান নদী সুগন্ধা ও বীষখালীতে দিনভর সাড়াশি অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। জেলা সদরসহ চার উপজেলায় চালানো এ অভিযানে রোববার দুপুর পর্যন্ত এক লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ, ৪ মণ ইলিশ মাছ উদ্ধার ও ৫টি মাছ ধরার ট্রলার আটক করা হয়েছে।
একইসঙ্গে মোট ৭ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও ৭ জনকে আটক করে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও সরকার প্রজনন মৌসুমে ইলিশের বংশ বিস্তারের নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মা-ইলিশ রক্ষার নিমিত্তে সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর অংশ হিসাবে রোববার দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও মৎস্য বিভাগের যৌথ উদ্দোগে ব্যাপক অভিযান শুরু হয়।
এসব অভিযানে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, চার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা-উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেলার প্রধান নদী সুগন্ধা ও বীষখালীর বিস্তির্ণ অংশে দিনরাত অব্যাহত অভিযান চালান।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বশির গাজী ও বরিশাল র্যাব-৮ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকুর চাকমার নেতৃত্বে সুগন্ধা নদীতে পৃথক অভিযান চালানো হয়। অভিযান টের পেয়ে নদীতে জাল রেখে পালিয়ে যায় মৌসুমি জেলেরা। অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ৪৮ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আটক ও চার মণ ইলিশ মাছ জব্দ করে। এসময় পুলিশ ও মৎস্য বিভাগ পাঁচটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দসহ ভ্রাম্যমান আদালত দুই ব্যক্তিকে অবৈধ কারেন্ট জাল রাখার অপরাধে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন বলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান।
এদিকে একই সময় ভ্রাম্যমান আদালত, বরিশাল র্যাব-৮ ও পুলিশ নলছিটি ফেরিঘাট এলাকায় জেলেদের ঘরে ঘরে অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ ও পাঁচ জেলেকে আটক করেন। জব্দকৃত জালগুলো সকালে সুগন্ধা নদী তীরের ফেরিঘাট এলাকায় জনসম্মুখে পুড়িয়ে দেন নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার। আর ইলিশ মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। এসময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রমনি কান্ত মিস্ত্রি উপস্থিত ছিলেন।
এ পর্যন্ত অভিযানে ঝালকাঠি জেলায় ২৫টি মোবাইল কোর্টের আওতায় ২৪টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এতে প্রায় ৪ মন ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে, ৮৬ হাজার ৫শ মিটার জাল আটক করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। যার মূল্য ১৪ লক্ষাধিক টাকা। এ ব্যাপারে ৭টি মামলা হয়েছে। ৭ জনকে জেল দেওয়া হয়েছে ও ৭ জনকে জরিমানা করে ৫৫ হাজার ৫শ টাকা আদায় করা হয়েছে।
এনএস/
আরও পড়ুন