কিশোরীকে তুলে নিয়ে ৯ দিন ধরে গণধর্ষণ
প্রকাশিত : ২০:০৯, ১৪ অক্টোবর ২০১৯
নরসিংদীর মাধবদীতে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর আটকে রেখে ৯ দিন ধরে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে অপহরণকারী দলের মূল হোতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৫ অক্টোবর ওই কিশোরীকে মাধবদী থানার দরগাবাড়ি এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার দেবাই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে সুজন (২৭) ও তার সহযোগী একই থানার সাতগ্রাম গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে রুবেল (২৬), ময়মনসিংহ সদর থানার রহমতপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো: ফয়সাল মিয়া (২০), লালমনিরহাট সদরের চরকুলাঘাপ গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আছাদুল ইসলাম ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চালা গ্রামের নিশাত মোল্লার ছেলে শাকিল মোল্লা।
মাধবদী থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান জানান, গত ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই কিশোরীকে মাধবদীর দরগাবাড়ি এলাকার সড়ক থেকে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে অপহরণকারী চক্র। চারদিন পর ৯ অক্টোবর মেয়েটির বাবার মোবাইলে ফোন করে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। অন্যথায় মেয়েকে মেরে ফেলার বলে হুমকি দেয়া হয়।
এ ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করেন মেয়েটির পিতা। পুলিশ মুক্তিপণ দাবি করা মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং করে অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে রুবেল নামে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্য মুক্তিপণের টাকা নিতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর আসলে পুলিশ তাকে হাতে নাতে আটক করে।
পরে আটককৃত রুবেলের দেয়া তথ্যমতে সাভারের গোমাইল উত্তর পাড়ার একটি বাড়ি থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় অপহরণে সহায়তাকারী ফয়সাল, শাকিল ও আছাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হলেও অপহরণকারী দলের মূলহোতা সুজন পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্র্যাকিং করে আজ (১৪ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া থেকে সুজনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণ ও ধর্ষণ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এনএস/
আরও পড়ুন