ফরিদপুরে দু’সন্তানের জননীকে কুপিয়ে হত্যা
প্রকাশিত : ১৯:০৯, ১৫ অক্টোবর ২০১৯
ফরিদপুরে দুই সন্তানের জননী এক সংখ্যালঘু গৃহবধূকে নিজ বাড়িতে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ফরিদপুর সদর উপজেলার পশ্চিম গঙ্গাবর্দী গ্রামের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ নিহত ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধূর নাম ঝর্ণা মন্ডল (৪২)। তিনি ওই গ্রামের দুলাল মন্ডলের (৪৮) স্ত্রী। ঝর্ণা মন্ডল এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী।
এলাকাবাসী জানায়, দুলাল মন্ডল রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। তার ছেলে কৃষ্ণ মন্ডল (১৯) পড়াশুনার পাশাপাশি বাবার কাজে সহযোগিতা করতো। ঝর্ণার মেয়ে বন্যা (১৭) পূজার আগে মামা বাড়িতে বেড়াতে যায়। মঙ্গলবার সকালের খাবার খেয়ে দুলাল ও তার ছেলে কৃষ্ণ কাজ করতে বাইরে যান। আর মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে বাড়িতে ফিরে আসে বন্যা। এলাকাবাসী দুপুর আড়াইটার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের কথা জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, স্বামী ও ছেলে যাওয়ার পর দিনের কোন এক সময়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই গৃহবধূর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, বসতবাড়ির যে ঘরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে সেটির দরজা খোলাই ছিল।
এলাকাবাসী জানায়, দুলাল ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরীহ প্রকৃতির। ২০ বছর আগে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে এই পরিবারের সদস্যরা পশ্চিম গঙ্গাবর্দী এলাকার ওই জায়গায় জমি কিনে বসবাস শুরু করেন। তাদের কোন শত্রু আছে বলে কখনই শোনা যায়নি।
এ ঘটনায় ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা সাংবাদিকদের জানান, এটি একটি ‘ক্লিন’ হত্যাকাণ্ড। হত্যাকারীরা হত্যা করতেই এসেছিল। তারা কোনও সহায় সম্পত্তির উপর হাত দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এনএস/
আরও পড়ুন