নবজাতককে হাসপাতালে ফেলে পালালো মা!
প্রকাশিত : ২০:৩৭, ১৫ অক্টোবর ২০১৯
জন্মের পর শিশুর জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো মায়ের কোল। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে সেই মায়ের কোলই হয়ে ওঠে চরম অনিরাপদ। সম্প্রতি এমনটাই প্রমাণ করলো অজ্ঞাত এক নবজাতকের মা। গত সোমবার রাতে সন্তান জন্ম দেয়ার পর ভোর হতেই নবজাতককে হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে গেছেন সেই মা। তার পালানোর পর অসুস্থ নবজাতককে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
এদিকে, সবকিছু বিবেচনা করে মঙ্গলবার অজ্ঞাত ওই নবজাতক শিশুটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ, সদর উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর ও হাসপাতালটির যৌথ সহযোগিতায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ অক্টোবর রাত ১১টায় কে বা কারা গর্ভবতী এক অজ্ঞাত নারীকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে রেখে চলে যায়। তারপর হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মোতাহের হোসেন সেন্টু গাইনী বিভাগে ভর্তি করিয়ে তাকে চিকিৎসা দেয়। হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ভর্তিরত অজ্ঞাত ওই নারী গত ১৪ অক্টোবর ভোররাত ৩টায় একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। তবে ওইদিন ভোরেই শিশুটিকে রেখে উধাও হয়ে যান মা।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার এসআই নারায়ণ বলেন, নবজাতক শিশুটিকে রেখে মা উধাও হয়ে যাওয়ার পর আমরা পুলিশ সদস্যরা সবাই মিলে শিশুটির দেখাশুনা করি। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন-এর সার্বিক সহযোগিতায় অসুস্থ শিশুটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার শিশুটিকে শিশু কনসালটেন্ট ডাঃ মোন ইকবাল হোসেন দেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন এবং শিশুটি এখন অনেকটাই সুস্থ আছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন বলেন, নবজাতকের কথা শুনে আমি আজ সকালেই তার খোঁজ-খবর নিই। তারপর সদর মডেল থানা পুলিশকে ও সমাজ সেবা অফিসার মাহমুদকে জানাই। তারপর নবজাতকের খাবার ও পোষাকের ব্যবস্থা করি এবং এখন শিশুটি আমাদের হেফাজতে আছে।
তিনি আরও বলেন, যদি কেউ শিশুটির দায়িত্ব নিতে ইচ্ছে পোষণ করেন, তাহলে সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
এনএস/
আরও পড়ুন