‘আত্মরাক্ষার্থে বিজিবি পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়’
প্রকাশিত : ২২:৪৪, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ২৩:১৯, ১৭ অক্টোবর ২০১৯
প্রেস ব্রিফিংয়ে রাজশাহী ১ বিজিবির অধিনায়ক ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ।
অনুমতি ছাড়াই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভারতীয় জেলেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে বিএসএফ। এতে বাধা দিতে গেলেই তারা বিজিবির উপর গুলি চালায়, আত্মরাক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালাতে বিজিবি সদস্যরা বাধ্য হয় বলে জানিয়েছেন ১ বিজিবির অধিনায়ক ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে রাজশাহী ১ বিজিবি দপ্তরে প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঘটনার কিছুক্ষণ পর ১১৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কাগমারী ক্যাম্প হতে চারজন সদস্যের একটি টহল দল স্পীড বোট যোগে অনুমতি ছাড়াই শূন্য লাইন অতিক্রম করে অবৈধভাবে ৬০০-৬৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে নদীর এপারে বিজিবি টহল দলের নিকট আসে এবং আটককৃত ভারতীয় নাগরিককে ছেড়ে দেয়ার জন্য বলে। তখন বিজিবি টহল দল আটক ভারতীয় নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে বলে জানায়। কিন্তু তারা ভারতীয় নাগরিককে বিজিবির নিকট হতে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বিজিবি সদস্যরা বাধা প্রদান করলে বিএসএফ সদস্যরা বিজিবি’র উপর আনুমানিক ৬ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। তৎক্ষণাৎ আত্মরক্ষার জন্য বিজিবি টহল দল পাল্টা ফাঁকা গুলি করলে বিএসএফ সদস্যরা ফায়ার করতে করতে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।
পরে আটককৃত ভারতীয় নাগরিক প্রনব মন্ডল ও উদ্ধারকৃত চার কেজি কারেন্ট জাল নিয়ে ক্যাম্পে আসা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চারঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি অধিনায়ক বলেন, এ ঘাটনায় অধিনায়ক, রাজশাহী ব্যাটালিয়ন (১ বিজিবি) এবং কমাণ্ড্যান্ট ১১৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে সীমান্ত পিলার ৭৫/৩-এস হতে আনুমানিক ০১ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পদ্মা নদীর চর শাহরিয়ার বাধ নামক স্থানে ব্যাটালিয়ন কমাণ্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ কমাণ্ড্যান্ট দাবি করেন তাদের একজন সদস্য নিহত এবং একজন সদস্য আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে উভয়পক্ষ তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে একমত হন। এছাড়াও এ বিষয়ে আরও আলোচনার জন্য খুব শীঘ্রই পতাকা বৈঠক করার বিষয়ে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার পৌনে ১১টার দিকে চারঘাট বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিওপি হতে আনুমানিক ০১ কিঃ মিঃ পশ্চিম দিকে এবং সীমান্ত পিলার ৭৫/৩-এস হতে ৫০০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চারঘাট থানাধীন শাহরিয়ার খাল নামক স্থানে (জিআর ৭২৮৮৫৮ মানচিত্র ৭৮ডি/১১) মা ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসূচীর আওতায় মৎস কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাছ ধরার সময় তিনজন জেলেকে আটক করার চেষ্টা করে বিজিবি। এদের মধ্যে দুইজন পালিয়ে যায় এবং একজনকে জালসহ আটক করে নদীর এপারে নিয়ে আসে। তারা ভারতীয় নাগিরক বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।
এনএস/
আরও পড়ুন