ভাত দিতে দেরি হওয়ায় নানীকে শেষ করে দিল নাতি
প্রকাশিত : ১৯:১৩, ১৮ অক্টোবর ২০১৯
ভাত দিতে দেরি হওয়ায় নানী ফুলমালা বেগমকে (৬০) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে নাতি পলাশ মিয়া (১৭)। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার কুড়েরপাড়া গ্রামে।
নিহত ফুলমালা বেগম কুড়েরপাড় গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর স্ত্রী। অভিযুক্ত পলাশ পার্শ্ববর্তী স্বর্পনিগৈর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম মিয়া ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত করে বাড়ি ফেরায় নাতি পলাশকে বকাঝকা করেন নানী ফুলমালা বেগম। এসময় খাবার দিতে একটু দেরি হওয়ায় পলাশ তার নানীর পিঠে ঘুষি দেয়। এতে নানী ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশের অণ্ডকোষে লাথি মারে। এতে আরও বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশ হাতুড়ি নিয়ে নানীর মাথায় ও মুখে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। যাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই নানীর মৃত্যু হয়।
মৃত্যু নিশ্চিত জেনে রাতেই নানী হত্যার প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য পলাশ ফোন করে পুলিশকে ঘটনা জানায়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মাধবদী থানা পুলিশ। এসময় অভিযুক্ত পলাশকে আটক করা হয়।
আমেনা বেগম নামে এক প্রতিবেশী জানান, দীর্ঘদিন পূর্বে বৃদ্ধা ফুলমালা বেগমের স্বামী মারা যাবার পর তিনি মেয়ের ঘরের নাতি পলাশ মিয়াকে নিজের কাছে নিয়ে এসে বিদ্যালয়ে ভর্তি করান। নানীর কাছে থেকেই মাধ্যমিক পাস করে বর্তমানে একটি কলেজে পড়াশুনা করছে পলাশ।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের দেওয়ান বলেন, মূলত ভাত দিতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে নানী ও নাতির মধ্যে ঝগড়া হয়। প্রথমে পলাশ তার নানীকে আঘাত করে। পরে নানী ফুলমালা রাগে লাথি দিলে তা পলাশের অণ্ডকোষে লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পলাশ হাতুড়ি দিয়ে এলাপাতাড়ি আঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় মাধবদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এনএস/
আরও পড়ুন