ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বকেয়া ঋণের টাকা চাওয়ায় ব্যাংক ব্যবস্থাপককে হুমকি

নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২০:৩৭, ১৮ অক্টোবর ২০১৯

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নাচনমহলস্থ সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে হুমকি দিচ্ছে ঋণ জালিয়াতি চক্র। বকেয়া ঋণের টাকা চাওয়ায় বৃহস্পতিবার এ চক্রের কয়েকজন মিলে শাখা ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান মোল্লাকে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তিনি নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। 

অভিযোগে জানা যায়, সোনালী ব্যাংক নাচনমহল শাখায় ১২ কোটি টাকা ঋণ খেলাপী রয়েছে সাড়ে চার হাজার গ্রাহকের। ঋণ জালিয়াতি একটি চক্র ব্যংক থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করছেন না। এ চক্রটির প্রধান রানাপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিজাম উদ্দিন খান ওরফে বিনু মাষ্টার।

এছাড়াও এ চক্রের সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী রাজ্জাক হাওলাদার, মাসুদ আলম, মো. আলমগীর ও রাসেল তালুকদার। এরা বিভিন্ন অসংখ্য মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তাদের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে। ঋণ গৃহিতাকে অর্ধেক টাকা দিয়ে বাকি টাকা এই চক্রটি আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চক্রের সঙ্গে জড়িতরাও ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করে নানা টালবাহানা শুরু করেন। 

ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান মোল্লা খেলাপী ঋণের টাকা চাইতে গেলে চক্রটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এমনকি তাকে প্রকাশ্যে ও মোবাইল ফোনে হুমকিও দিচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
 
এ বিষয়ে শাখা ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান মোল্লা বলেন, ব্যাংকের শাখাটি রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু বকেয়া ঋণ পরিশোধ করছেন না গ্রাহকরা। স্থানীয় একটি ঋণ জালিয়াচি চক্র প্রভাব বিস্তার করে ঋণ পরিশোধ করছে না। এতে প্রায় ১২ কোটি টাকা বকেয়া হয়ে গেছে। আমি বকেয়া টাকা চাইতে গেলে তারা আমাকে নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আমাকে মেরে তাড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দিচ্ছেন। আমি থানায় একটি জিডি করেছি। 

এ ব্যাপারে নিজাম উদ্দিন খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

নলছিটি থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জিডি তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত জানার পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি