ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে এসিডে ঝলসে দিল পাষণ্ড স্বামী

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:০৮, ২২ অক্টোবর ২০১৯

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এসিডে দগ্ধ ফাতেমা ও তার শিশু কন্যা

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এসিডে দগ্ধ ফাতেমা ও তার শিশু কন্যা

Ekushey Television Ltd.

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে তালাকপ্রাপ্ত স্বামীর ছোড়া এসিডে ঝলসে গেছে স্ত্রী ও তার দুই বছরের শিশু কন্যা। দগ্ধ মা ও মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে আশাশুনি উপজেলার চাপড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের একরামুল কাদিরের মেয়ে ফাতেমা সুলতানা (২৯) ও তার মেয়ে জাকিয়া সুলতানা (২)।

সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ফাতেমা জানান, ছয় বছর আগে নড়াইল জেলার শাহাজান মোল্যার সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্বামী তাকে যৌতুকের জন্য প্রায়ই নির্যাতন করতো। তার স্বামী মাদকাসক্ত হওয়ায় এক বছর আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে ফাতেমা বাবার বাড়িতে থাকতো। 

ফাতেমা আরও জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবারও সে বাবার বাড়িতে রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। গভীর রাতে তার প্রাক্তন স্বামী শাহাজান মোল্যা বাড়ির জানালার কাছে এসে তাকে ডাক দেয়। ডাক শুনে জানালা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সে এসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। এসিড ছোড়ার সাথে সাথে তার সারা শরীর ও তার পাশে থাকা দুই বছরের মেয়ের শরীর ঝলসে যায়।

এ বিষয়ে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ফাতেমার সাবেক স্বামী শাহাজান মোল্যাকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেননি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইকবাল মাহমুদ জানান, শিশুটির থেকে তার মায়ের অবস্থা বেশী খারাপ। তার মুখ, চোখ ও বুক থেকে পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে। জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা চলছে। এমনকি ফাতেমার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি