আশুলিয়ায় জামিন পেয়েছেন যুবলীগ নেতা মইনুল
প্রকাশিত : ১৮:০৪, ২৩ অক্টোবর ২০১৯
আশুলিয়া যুবলীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক মইনুল ইসলাম ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যে ও হয়রানিমূলক মামলার তীব্র প্রতিবাদসহ মামলাটি প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার রাতে বাইপাইল আদর্শ পাইকারী বাজারে কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী জামিনে আসা আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মইনুল ইসলাম ভুঁইয়া উপস্থিত হলে তারা এই প্রতিবাদ জানান। আদালত থেকে জামিন পেয়ে তার নিজ এলাকায় পৌঁছলে শত শত নেতাকর্মী অশ্রুশিক্ত নয়নে ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করেন।
মামলার অভিযোগে দেখা যায়, জনৈকা মাকসুদা বেগম বাদী হয়ে একমাত্র আসামী মইনুল ইসলাম ভুঁইয়ার পিতার নামটিও সঠিক দিতে পারেনি। মইনুল ইসলাম ভুঁইয়ার পিতার নাম মৃত মমতাজ উদ্দিন উল্লেখ করা হয়েছে। তার পিতার নাম মৃত আব্দুস ছালাম ভুঁইয়া। মামলার একমাত্র আসামীর পিতার নামই যখন সঠিক নয় তখন মামলাটির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবীর হোসেন সরকার বলেন, মিথ্যে মামলা দিয়ে ত্যাগী নেতাদের ধমাতে পারবে না, যারা জাতির পিতার আর্দশের অনুসারী, জননেত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক তাদের ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না। মইনুল ইসলাম ভুঁইয়া ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত। ২০০৬ সালে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক, ২০১০ সালে সে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হিসাবে দীর্ঘ ৫ বছর দায়িত্বপালন করেছে। স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের জন তাকে দুই দুইবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে পরিষদে পাঠিয়েছে।
দূর্নীতিবাজ হলে তাকে বার বার জনগন ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতো না। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বিচার বিবেচনার মাধ্যমে আশুলিয়ার ঘুনে ধরা যুবলীগকে চাঙ্গ করতে আমাকে আহ্বায়ক আর মুইনুল ইসলামকে যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব দিয়েছেন। মইনুল ও আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সুবিধাভোগী কুচক্রী মহল যুবলীগের সম্মেলনের পূর্বে মিথ্যে ও সাজানো মামলা দিয়ে হয়রনি করছে। তাদের এই সাজানো মামলায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারকগন তাকে বিনা জামানতে জামিন দিয়েছেন। আমি স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষন করে বলছি, আপনারা সরেজমিনে তদন্ত করে সাজানো মামলাটির সমাপ্তি টানবেন। নইলে আশুলিয়ার যুবলীগের নেতাকর্মীগন আন্দোলন করতে বাধ্য হবে।
আরকে//
আরও পড়ুন