ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

সন্দ্বীপের ৬০ মৌজার সীমানা রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩৮, ২৮ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ১৯:৩৮, ২৮ অক্টোবর ২০১৯

সন্দ্বীপের ৬০ মৌজার সীমানা রক্ষার দাবীতে সন্মিলিত সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে সন্দ্বীপ এনাম নাহার মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি সন্দ্বীপের ঠেঙ্গার চর অংশ পুর্বের ন্যায়ামস্তি ইউনিয়নকে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার থানা ঘোষনার পর সন্দ্বীপের সর্বোস্তরের জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। 

'বাপ দাদার ভিটে ঘর, রক্ত দিয়ে রক্ষা কর' এই শ্লোগান ও প্লাকার্ড প্রদর্শন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাজারো সন্দ্বীপবাসি সরব হয়ে উঠেছে। এছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী সন্দ্বীপিরাও এই আন্দোলনে তাদের কর্মসূচী দিয়েছে। সে মোতাবেক আগামী শুক্রবার চট্টগ্রাম ও ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সন্মিলিত অধিকার আন্দোলনের সম্পাদক হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপি। এরপর ভাসানচরকে সন্দ্বীপের অংশ ঘোষণার দাবীতে নবজাগৃতি সংঘের সভাপতি ইব্রাহীম অপুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ভোরের পাখি সাহিত্য মেলার সভাপতি ইসমাঈল হোসেন মনি, সন্দ্বীপ প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল রায় স্বাধীন, আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল মাওলা, যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম, সমাজকর্মী আনোয়ার হোসেন, সন্দ্বীপ সীমানা রক্ষার রিট আবেদনকারী কমরেড মনিরুল হুদা বাবন, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার ও সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত নদী ভাঙনে ভূমি হারানো সন্দ্বীপের ভুমি যখন নতুন ভাবে জেগে উঠেছে, যখন দ্বীপের ভূমিহীন মানুষ জেগে উঠা ভুমিতে ফসল বোনার সপ্ন দেখছিল। সে মুহুর্তে সরকারের স্থানীয় প্রতিনিধি বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম, জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম-নোয়াখালী বিতর্কিত সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার উড়ির চর ইউনিয়নের চর এলাহি, চর বালুয়ার বিশাল অংশ, জাহাজ্জার চর, ঠেঙ্গারচরসহ প্রায় লক্ষ একর ভুমি নোয়াখালী জেলার সাথে সংযুক্ত করে। 

উল্লেখ্য, সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিকার চেয়ে দ্বীপের মানুষ মানববন্ধন, মিছিল মিটিং, স্বারকলিপি প্রদান করে যখন কোন প্রতিকার পাচ্ছিলো না তখন আদালতের শরণাপন্ন হলে ২/৩/২০১৬ সালে মাননীয় ভূমিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রনালয়ের অনুষ্ঠিত সভায় বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম এবং নোয়াখালীর জেলা প্রশাসকদ্বয়কে নির্দেশ দেন (১৯১৩-১৯১৬) সালের প্রস্তুতকৃত সি,এস ম্যাপের উপর ভিত্তি করে দুই মাসের মধ্যে জিপিএস মাননির্ণয় ও কিস্তোয়ার (ডাটা) সংগ্রহ করে জেলার সীমানা নির্ধারণ করতে। 

২০১৬ সালের মন্ত্রানালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়াতে গত ২৭ মে ২০১৮ সালে দিয়ারা জরিপের জন্য সন্দ্বীপবাসী মহামান্য হাইকোর্টের শরানাপ্নন হয়, হাইকোর্ট মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্টদের দুই মাসের সময় বেঁধে দিলেও তারা মহামান্য হাইকোর্ট ও মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একের পর এক বেআইনি কাজ করে যাচ্ছে।

সম্প্রতি, ভাসানচরকে নোয়াখালীর থানা ঘোষণা করে সরকার। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও সন্দ্বীপের ভুমিকে নোয়াখালীর জেলা দেখানোর কারণে দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সন্দ্বীপবাসী মেনে নিতে পারেনি।

এসি/কেআই
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি