ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কলেজ ভাংচুর ও প্রহরীকে কুপিয়ে জখমকারী ওরা কারা?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০১, ২ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৩:০৪, ২ নভেম্বর ২০১৯

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার এমপিওভুক্ত তুষখালী কলেজে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় কলেজের নৈশপ্রহরী খাইরুল ফরাজীকে কুপিয়ে জখম করে। 

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত নৈশপ্রহরীকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে কলেজে হামলাকারী ওরা কারা?

স্থানীয়রা জানায়, দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, রড নিয়ে একদল সন্ত্রাসী রাতের অন্ধকারে নৃশংসভাবে হামলা চালায়। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা গাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করে। কলেজে দায়িত্বে থাকা নৈশপ্রহরী খাইরুল ফরাজী বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা কলেজের একটি ট্রাক, একটি বাস, মোটরসাইকেল ও রাস্তার একটি মাহেন্দ্র গাড়ি ভাংচুর করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা হয় তুষখালী কলেজের নামফলক।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়ামে পুলিশ সুপার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় অংশ নেয় মঠবাড়িয়া উপজেলা দল। খেলায় ভান্ডারিয়া উপজেলা দল পিরোজপুর সদর উপজেলা দলকে সমর্থন দেয় এবং মাঠে বাদকদলসহ ভান্ডারিয়া উপজেলার কয়েক শত দর্শক উপস্থিত হন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলামের প্রতিষ্ঠিত তুষখালী কলেজে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। 


হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা

এ বিষয়ে তুষখালী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। মঠবাড়িয়া উপজেলার সাবেক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন কলেজে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মঠবাড়িয়া থানার (ওসি) আবু জাফর মো. মাসুদুজ্জামান জানান, ‘হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে কাউকে মারধরের খবর আমার জানা নেই। এ বিষয়ে এখনও থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি