বেনাপোলে দ্বিতীয় দিনের মত আমদানি-রফতানি বন্ধ
প্রকাশিত : ১৭:৫৮, ৩ নভেম্বর ২০১৯
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ইন্টারনেট সার্ভারে কাজ না করায় রোববার দ্বিতীয় দিনের মত দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে ইন্টারনেট সার্ভারে কাজ না করায় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার বিকেল বা বুধবার সকাল নাগাদ চালু হতে পারে বলে ওপারের সিএন্ডএফ এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে। আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল কাস্টমস হাউজ, বন্দর ও চেকপোস্টে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, আগে পেট্রাপোল বন্দরে হাতে কলমে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হতো। বর্তমানে ভরতীয় বন্দরে অটেমেশন প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় ওই কাজ এখন অনলাইনে ইন্টারনেট সার্ভারে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শনিবার সকাল থেকে পেট্রাপোল বন্দরে ইন্টারনেট সংযোগ বিকল হয়ে পড়ায় তারা পণ্য খালাস ও আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত কোনো কাজ করতে পারছেন না।
এতে সবধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ওপারের বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে এটা সরাসরি দিল্লী থেকে সব কিছু দেখা হয়ে থাকে। পেট্রাপোল বন্দরে টেকনিশিয়ান এসে কাজ শুরু করেছে জানতে পেরেছি। মেরামত কাজ শেষ হলে এ বন্দরে পুনরায় আমদানি-রফতানি শুরু হবে। মঙ্গলবার বিকেল বা বুধবার সকাল নাগাদ চালু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে বলে ওপারের সূত্রে জানতে পেরেছেন বলে তিনি জানান।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন খান বলেন, এ পথে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, শনিবার সকাল থেকে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দু‘দেশের বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় কয়েক শত পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে শিল্পকাখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল খাদ্যদ্রব্য ও পচনশীল পণ্য রয়েছে। রফতানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, তৈরি পোশাক ও মাছ। দ্রুত বাণিজ্য সচল না হলে ব্যবসায়ীরা লোকসানের কবলে পড়বেন বলে তিনি জানান।
আরকে//
আরও পড়ুন