ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বেনাপোলে বিশেষ ব্যবস্থায় আমদানি-রফতানি চলছে

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:৪৫, ৪ নভেম্বর ২০১৯

দুই দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার দুপুর থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় আংশিকভাবে চালু হয়েছে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। দিল্লী কাস্টমস থেকে যে সব পণ্যবাহী ট্রাকের ছাড়পত্র দেওয়া আছে সে সব ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৫০টি ট্রাক পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে দিল্লীর ট্রাক। কোলকাতার কোন ট্রাক প্রবেশ করেনি।

ওপারের সিএন্ডএফ এজেন্টস সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সার্ভার ও প্রিন্টার জটিলতায় শনিবার সকাল থেকে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকে।

রোববার বিশেষ ব্যবস্থায় বাংলাদেশি ৩৫টি রফতানি ট্রাক পেট্রাপোল বন্দরে গেলেও পেট্রাপোল বন্দর থেকে কোন ট্রাক বেনাপোল বন্দরে আসেনি। রোববার দুপুর থেকে দিল্লী থেকে টেকনেশিয়ান কাজ শুরু করলেও এখনো প্রিন্টার ঠিক হয়নি। ফলে প্রিন্টিং কাগজপত্রের কারণে স্থানীয় কোন ট্রাক পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করছে পারছে না। দিল্লী কাস্টমস থেকে ছাড়কৃত ট্রাকগুলোকে পেট্রাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোলে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে। ২/১ দিনের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে তারা জানান।

বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, শনিবার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত এ পথে আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেকে রফতানি পণ্যের চালান পেট্রাপোলে গ্রহণ করা হচ্ছে। সোমবার দুপুরের পর থেকে থেমে থেমে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রায় ৫০টি পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে এসেছে।

ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, পেট্রাপোল বন্দরে আগে হাতে কলমে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা করা হতো। এখন বন্দরে অটোমেশন প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় ওই কাজ অনলাইনে করা হয়। পেট্রাপোল বন্দরে কেন্দ্রীয় (দিল্লী) সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত প্রিন্টার কাজ না করায় কাগজপত্রের জটিলতায় পণ্য খালাস ও বাংলাদেশে পণ্য রফতানি সংক্রান্ত সব কাজ বন্ধ রয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় সোমবার দুপুরের পর থেকে ভারতীয় কাস্টমস কিছু কিছু পণ্যবাহী ট্রাক উভয় দেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, এখনও পেট্রাপোল বন্দরে শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল, খাদ্যদ্রব্য ও পচনশীল পণ্যের শত শত ট্রাক পড়ে আছে। দ্রুত বাণিজ্য সচল না হলে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়বে। 

তিনি বলেন, পেট্রাপোল বন্দরে টেকনিশিয়ান কাজ শুরু করেছে বলে জানতে পেরেছি। মেরামত শেষ হলে এ বন্দরে আবার আমদানি-রফতানি শুরু হবে।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা রাশেদুল হক বলেন, রোববার থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৮২টি ট্রাক পণ্য নিয়ে ভারতে গেছে। আর ভারত থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ৫০টি ট্রাক পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে এসেছে। প্রিন্টার বিকল থাকায় পেট্রাপোল কাস্টমস প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে পারেনি। এ কারণে বাংলাদেশি ট্রাকগুলো পণ্য খালাস করে বাংলাদেশে ফিরতে পারছে না।

কেআই/এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি