পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল সরবরাহের অভিযোগে চার যুবকের ৬ মাসের জেল
প্রকাশিত : ২০:৪৬, ৭ নভেম্বর ২০১৯
ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের কালামপুরে একটি বিদ্যালয়ে জেএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহের অভিযোগে বহিরাগত চার যুবককে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অপর একটি পরীক্ষার কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর আগেই শিক্ষকের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বাহিরে নেয়ার ঘটনায় এর হোতাকে খুঁজছেন প্রশাসন।
সাভারের হেমায়েতপুরের জয়নাবাড়ীর আদি টাঙ্গাইল ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল রিমন চৌধুরী বিগত সবকটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কেন্দ্রের বাহিরে নিয়েছে বলে জানান, অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরেই এই পদ্ধতি অবলম্বনে তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ভাল ফলাফল করিয়েছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আগমনের সংবাদ পাওয়ার পরই সে গা ঢাকা দেয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার কালামপুরের ভালুম আতাউর খান উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে বহিরাগত চার যুবককে এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল হক। কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, ফাহিম, রুবেল ও মান্নানসহ চার যুবক। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল হক জানান, কালামপুরের ভালুম আতাউর রহমান খান উচ্চ বিদ্যালয় সেন্টারের পরীক্ষা কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইজ ও কাগজের মাধ্যমে নকল সরবরাহ করছিলো ফাহিম, রুবেল ও মান্নানসহ বহিরাগত চার যুবক।
এসময় বিষয়টি নজরে আসলে তাদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেছে। তাই পরীক্ষা কেন্দ্রের ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে এ অপরাধের সাথে জড়িত থাকার জন্য আটক চারজনকে ৬ মাসের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ধামরাইয়ের জেএসসি পরীক্ষার কুশার তিনটি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র বাহিরে নেয়ার ঘটনায় সাভারের জয়নাবাড়ী এলাকার আদি টাঙ্গাইলের প্রিন্সিপাল রিমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি এসব পরীক্ষা কেন্দ্রে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নলক সরবরাহের সাথে জড়িত রয়েছে ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেআই/আরকে
আরও পড়ুন