ঘূর্ণিঝড় বুলবুল
মোংলায় উদ্ধার তৎপরতায় প্রস্তুত ২৩টি জাহাজ
প্রকাশিত : ১৯:৪৯, ৯ নভেম্বর ২০১৯
মোংলা ও সুন্দরবনসহ উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা চালাতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সুন্দরবন বিভাগের ২৩টি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন ও কোষ্টগার্ড মোংলা সদর দপ্তরের অপারেশন কর্মকর্তা লে. ইমতিয়াজ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মোংলা উপজেলায় ১৮ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও পর্যাপ্ত বোতলজাত খাবার পানি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় জন্য প্রস্তুত রয়েছে সরকারি ৬৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৯টি মেডিকেল টিম। ৮৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে প্রায় ৬০ মানুষের। উপজেলায় সব আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এসব আশ্রয় কেন্দ্র ১২ হাজার ২৭৮ জন নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাহাত মান্নান।
সুন্দরবনসহ মোংলা উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা চালাতে নৌবাহিনীর ৪টি জাহাজসহ চার’শ নৌসেনা, মোংলা বন্দরের জাহাজ ৩টি জাহাজ এমটি সুন্দরবন, এমটি শিপসা ও এমটি অগ্নিপ্রহরী প্রস্তুত রয়েছে। একই ভাবে কোষ্টগার্ডের সিজিএস কামরুজ্জামান, মুনসুর আলী, স্বাধীন বাংলা, সোনার বাংলা, অপারেজয় বাংলাসহ ১০টি জাহাজ ও সুন্দরবন বিভাগের ৬টি প্রস্তুত রাখা হয়েছে উদ্ধার তৎপরতার চালানোর জন্য।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মোংলা বন্দরে রাত থেকে জাহাজে পণ্য ওঠানামা ও বন্দরে জাহাজ আগমন নির্গমন বন্ধ রয়েছে। মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সকল দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে জেটি থেকে সরিয়ে পশুর চ্যানেলে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সব ধরনের লাইটার জাহাজকে বন্দরের পশুর চ্যানেল ত্যাগ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
কেআই/আরকে
আরও পড়ুন