নোয়াখালীতে ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’এর প্রভাবে জনজীবনে স্থবিরতা
প্রকাশিত : ২০:০২, ১০ নভেম্বর ২০১৯
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর প্রভাবে রোববার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত টানা অর্ধবেলার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে নোয়াখালী পৌর শহরসহ জেলার অধিকাংশ এলাকা। নোয়াখালী পৌর শহরের বেশিরভাগ বাসা বাড়িতে ঢুকে পড়েছে বৃষ্টির পানি। এদিকে সকাল থেকে বিদ্যুৎ প্রায় নেই বললেই চলে। এতে জনজীবন অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। রোববার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১০১ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
গত শুক্রবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত টানা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও জলমগ্ন হয়নি কোনো এলাকা। তবে রোববার দুপুর থেকে টানা ভারীবর্ষণ শুরু হয় । এতে বিকাল পর্যন্ত বৃষ্টি স্থায়ী হওয়ায় নোয়াখালী পৌর শহর তথা জেলা শহর মাইজদীর প্রায় সব এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া সুবর্ণচর, হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা এবং বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, চাটখিল ও সোনাইমুড়ির নিন্ম এলাকাগুলোও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে সকাল থেকে বিদ্যুৎ তেমন একটা না থাকায় বাসা বাড়িতে ব্যবহারের পানির সংকট দেখা দেয়।
সুবর্ণচর, হাতিয়া ও কোম্পানীগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমন ক্ষেতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে অর্ধপাকা আমন ধানের বেশিরভাগই ক্ষেতে নুয়ে পড়েছে।
নোয়াখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র রতন কৃষ্ণ পাল শহর জলমগ্ন হওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, দুপুর থেকে তিনি ও পৌর কাউন্সিলররা শ্রমিক নিয়ে বিভিন্ন স্থানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু শ্রমিক কম হওয়ায় বেগ পেতে হচ্ছে। তবে বৃষ্টি কমলে পুরোদমে কাজ করার আশ্বাস দেন।
তবে জেলার কোথাও ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত বা অন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানান জেলা দুর্যোগ, ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা হামিদুল হক।
এদিকে জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত জেলার বৃষ্টিপাত ১০১ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
কেআই/আরকে
আরও পড়ুন