ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৫৮, ১৪ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১২:০১, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাহমুদুল হাসান (৩৫) নামে এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ভোররাত ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে পাহাড়ি এলাকায় এ ‘বন্দুযুদ্ধ’র ঘটনা ঘটে। নিহত মাহমুদুল হাসান টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী মুচনি ক্যাম্পের এইচ ব্লকের মৃত বক্কর আহমদের ছেলে। 

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত জকি তার সদস্যদের নিয়ে আস্তানায় অবস্থান করছে। 

এমন সংবাদে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেদুয়ানের নেতৃত্বে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশসহ পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। 

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই ডাকাতকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো জানান,  ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কনেস্টবল মিঠুন জয়, শাহীন ও হাবিব নামে  তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

নিহত মাহমুদুলের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। তার লাশ ময়নাতদন্তেরে জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখ হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। 

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জাকারিয়া মাহামুদ বলেন, রাতে আহত তিন পুলিশসহ গুলিবিদ্ধ একজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এআই/


 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি