বাবাকে অপহরণ করে মেয়েকে ধর্ষনের পরিকল্পনাকারী আটক
প্রকাশিত : ১৯:০১, ১৭ নভেম্বর ২০১৯
কুমিল্লা নগরীর দৌলতপুর এলাকার আমজাদ হোসেন নামে এক অটো চালককে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরন করে। পরে কৌশলে তার মেয়েকে ধর্ষনের পরিকল্পনা করে একদল অপরহরকারী। ঘটনাটি জেলা পুলিশের নজরে আসলে ২ ঘন্টার মধ্যে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার পূর্বক অপহরকারী দলের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন রোববার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৬ টায় কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন দৌলতপুর এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে ব্যাটারী চালিত অটো চালক আজাদ হোসেন (৪৫) সদর দক্ষীণ উপজেলার রাজারখলা বোনের বাড়ীতে যাচ্ছিলেন। পথে চিশতীয়া জুট মিলের সামনে প্রাইভেটকার যোগে ৪ জনের একটি অপহরনকারী দল আজাদ হোসেনকে অপহরন করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা পৌনে ৭ টায় আজাদ হোসেনের মেয়ের মোবাইল ফোনে অপহরনকারীরা ফোন দিয়ে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নগরীর নেউরা এলাকায় যাওয়ার জন্য বলে।
আজাদ হোসেনের মেয়ে পৌনে ৯ টায় কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় এসে বিষয়টি পুলিশকে জানালে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম ’কে অবহিত করে। পুলিশের দুটি টিমে তাৎক্ষনিকভাবে পৃথক অভিযান চালিয়ে নগরীর নেউড়া ইকো পার্ক এলাকার একটি ৬ তলা বিল্ডিং এর নিচ তলা থেকে শেকল বাধা অবস্থায় আজাদ হোসেনকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীর ৩ সদস্য পালিয়ে গেলেও পুলিশ জামাল মিয়া নামে ১ অপহরণকারীকে আটক করে।
উদ্ধারের পর পিতা আজাদ হোসেন জানান, মূলত তাকে জিম্মি করে তার মেয়ে রিয়া আক্তারকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে অপহরণকারী এই ফাঁদ সৃষ্টি করে এবং এই বিষয় নিয়ে পারস্পরিক আলোচনা করছিল। আটককৃত জামাল মিয়া জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বারেশ্বর গ্রামে বাচ্চু মিয়ার ছেলে। সে নগরীর নেউড়া এলাকায় জনৈক জহিরুল ইসলামের বাড়ীতে ভাড়ায় থাকতো।
এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামী করে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরকে//
আরও পড়ুন