ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বেনাপোল কাস্টমে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু 

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০০:০৮, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

বেনাপোল কাস্টম হাউজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দীর্ঘ তিন বছর পর সম্পন্ন হতে চলেছে জনবল নিয়োগ পরীক্ষা। উচ্চমান সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর ও ক্যাশিয়ার, গাড়িচালক, ইলেকট্রেশিয়ান, টেলিফোন অপারেটর, নিরাপত্তা প্রহরী ও সিপাইসহ ১৩টি পদে লোক নেবে ৯৪ জন। আবেদন জমা পড়েছে ৬৪ হাজার। বাছাইয়ে টিকে আছে ৫২ হাজার প্রার্থী। 

৬৪ জেলা থেকে পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীরা দুর-দুরান্ত থেকে বেনাপোলে এসে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে অনেকে পড়েছে বিপাকে। কেউ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে, কেউ হোটেলে, অনেকে হোটেলে সিট না পেয়ে রাস্তায় ঘোরাফেরা করে। বিশেষ করে মহিলারা পড়েন বেশি বিপাকে। খবর পেয়ে বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়ি কমিউনিটি সেন্টারে এসব পরীক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। পাশের একটি বাড়িতে মহিলাদের থাকারও ব্যবস্থা করা হয়।
 
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল থেকে বেনাপোল কাস্টম হাউজ মাঠে একটি পদে (সিপাই) শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাকী পদে পরীক্ষা হবে ২৯ নভেম্বর যশোরের বিভিন্ন কলেজ ও বিদ্যালয়ে। সিপাই পদে পরীক্ষায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে সীমাহীন দুর্ভোগের অভিযোগ তুলেছেন পরীক্ষার্থীরা। সিপাই পদে ৫৬ জনের বিপরীতে প্রায় ২৭ হাজার পরীক্ষার্থীর প্রথম দিনে শারিরীক ফিটনেস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবারও চলবে এ পরীক্ষা। তবে শেষ করা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে পরীক্ষার্থীরা। কাস্টমের অব্যবস্থাপনার কারনে তাদের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি বেড়েছে।

ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীদের একজন কাওসার আহমেদ জানান, কাস্টমে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় কাজের ধীর গতিতে তাদের ভোগান্তি বেড়েছে। পরীক্ষা দিতে কাস্টমের ভিতরে ঢুকতে না পেরে প্রধান সড়কের উপর অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সেখানে আশপাশে বসার কোন ব্যবস্থা নেই। টানা রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। যানবাহনে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও রয়েছে। কাস্টম কর্তৃপক্ষ প্রবেশ পত্রে সকাল ৯টায় পরীক্ষার সময় উল্লেখ করেছেন। ২টা শিফট করেছেন কাস্টম কর্তৃপক্ষ। এক একটি শিফটে এক হাজার এক হাজার করে ডাকা হচ্ছে। ৩টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকলেও তাদের সিরিয়াল এখনো আসেনি। কখন সিরিয়াল পাব জানতে পারছি না। রাস্তার উপর দুর্ভোগে দাঁড়িয়ে আছি। অনিয়মের কারনে পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। তবে পরীক্ষার্থীরা আশা করছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কোন প্রভাব বিস্তার করবেন না। করলে তাদের স্বপ নষ্ট হবে।

এদিকে পরীক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়গুলো নিয়ে নিয়োগ নির্বাচন কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলামের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, এখানে সাংবাদিকদের তো কোন আমন্ত্রণ করা হয়নি। পরীক্ষার বিষয়ে কোন কিছু লেখালেখিতে সাংবাদিকদের কোন কাজ আছে বলেও আমার মনে হয় না। যান, যখন ডাকা হবে তখন আসবেন। তিনি কোন তথ্যও দেননি। 

কেআই/আরকে
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি