কর্মবিরতির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মোংলা বন্দরে
প্রকাশিত : ১১:০৩, ৩০ নভেম্বর ২০১৯
১১ দফা দাবিতে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) মধ্যরাত থেকে মোংলা বন্দরসহ সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। এর ফলে রাত থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে নৌপথে পণ্য পরিবহনের কাজ।
নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মোংলা বন্দরেও। কর্মবিরতি শুরুর আগে থেকেই বন্দরে অবস্থানরত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের গাঁয়ে যে সকল নৌযান ছিল, সেগুলোতে আজ শনিবার সকালেও স্বল্প পরিসরে পণ্য খালাসের কাজ চলে।
কিন্তু দুপুরের পর থেকে তাও বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। তবে কিছু কিছু জাহাজের গাঁয়ে নৌযান না থাকায় সে সকল জাহাজের পণ্য ওঠা-নামার কাজ বন্ধ রয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন বলেন, নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির প্রভাব ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। সকালে জাহাজের পণ্য ওঠা-নামার কাজ হলেও দুপুরের পর থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন’র (কেন্দ্রীয়) সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম জানান, ১১ দফা দাবিতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকরা। দেশের বিভিন্নস্থানে থাকা প্রায় ২০ হাজার নৌযানের (কার্গো, কোস্টার, বাল্কহেড, বার্জ ও লঞ্চ) ২ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী তাদের কাজ কর্ম বন্ধ রেখে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করবেন।
আলম বলেন, ‘১১ দফা দাবির বিষয়ে গত ২৭ নভেম্বর শ্রম মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে কিছু ইতিবাচক প্রস্তাব উঠে আসলেও সামগ্রিকভাবে গ্রহণযোগ্য সমাধানের পথ তৈরি না হওয়ায় শ্রমিকরা তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি, তাই কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মালিকদের অনিহাই শ্রমিকদের বিক্ষুদ্ধ হওয়ার মূল কারণ। কেননা, অধিকাংশ মালিক সমিতি শ্রম মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে উপস্থিত হন না।’
এর আগে একই দাবিতে গত ২৩ জুলাই কর্মবিরতিতে নেমেছিলেন নৌযান শ্রমিকেরা। এরপর দাবি পূরণের আশ্বাসে তারা কর্মবিরতি স্থগিত করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সেই সকল দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারো ধর্মঘটে নামলেন তারা।
এআই/
আরও পড়ুন