অনুপ্রবেশ ঠেকাতে রাত জেগে সীমান্ত পাহারা
প্রকাশিত : ২২:৩৭, ২ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২২:৪৬, ২ ডিসেম্বর ২০১৯
পাহারারত গ্রামবাসী
ভারতের এনআরসির প্রভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে রাত জেগে বিজিবির সঙ্গে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন রাজশাহীর চরখানপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
গত ২৮ নভেম্বর রাত থেকে পালাক্রমে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন তারা। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত সীমান্ত পাহারায় থাকছেন গ্রামবাসী। এর আগে বিষয়টি নিয়ে ২৮ নভেম্বর চরখিদিরপুরে গ্রামবাসীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজশাহী ১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের চরখানপুর সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য এরশাদুল হক জানান, বিজিবির প্রস্তাব অনুযায়ী গ্রামের মানুষকে বুঝিয়ে এ দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। পালা করে গ্রামের সবাই এ দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে বিজিবির চরখানপুর সীমান্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ নায়েক সুবেদার নজরুল ইসলাম বলেন, গত ২৭ নভেম্বর তারা জানতে পারেন ভারত থেকে ওই সীমান্তপথে অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে। এ নিয়ে পরদিনই তিনি গ্রামের ইউপি সদস্য এরশাদুল হক ও কোহিনুর বেগমকে ডেকে গ্রামবাসীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
ওই বৈঠকে বিজিবির সঙ্গে সীমান্ত পাহারায় থাকতে সম্মত হন গ্রামবাসী। ওই রাত থেকেই শুরু হয়েছে সীমান্ত পাহারা। প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত একদল গ্রামবাসী সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন। আরেক দল পাহারায় নামছেন রাত ১২টা থেকে পরদিন ভোর ছয়টা পর্যন্ত। গ্রামবাসীকে উৎসাহ দিতে খাবারের ব্যবস্থা করেছে বিজিবি।
পাহারা দিচ্ছেন গ্রামের কৃষক জুয়েল (২৮)। তিনি বলেন, দিনের বেলায় কাজ করে রাতে সীমান্ত পাহারা দেন। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত পালাক্রমে সবাই পাহারা দেয়।
উল্লেখ্য, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢুকে পড়ে জাতীয় নিরাপত্তা নষ্ট করছে, এবং এদের ঠেকানোর জন্যই নাগরিক পঞ্জী বা এনআরসি-র মতো পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বিজেপির এক জনসভায় অমিত শাহ বলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ভোটব্যাংকের স্বার্থে 'বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের' রেখে দিতে চান।
কিন্তু, তিনি বলেন, "রাহুল গান্ধী (কংগ্রেস) বা মমতা ব্যানার্জী যতই এনআরসি প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করুন, সেটা বন্ধ হবে না।"
এসি
আরও পড়ুন