শূন্যরেখায় বিএসএফ’র চৌকি স্থাপন, বিজিবি’র প্রতিবাদ
প্রকাশিত : ০৯:২৩, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯
রাজশাহী সীমান্তবর্তী নো-ম্যানস ল্যান্ডের (শূন্যরেখা) পাশে জেগে ওঠা চরে অবৈধভাবে একটি অস্থায়ী চৌকি স্থাপন করেছে বিএসএফ। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার বিকালে রাজশাহীর ১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে ডেলটা কোম্পানির কমান্ডার নায়েব সুবেদার শওকত আলী সাংবাদিকদের জানান, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, নো-ম্যানস ল্যান্ড থেকে নিজ নিজ সীমানার ১৫০ মিটার ভেতরে চৌকি করতে হবে। কিন্তু বিএসএফ জিরো লাইনের ৭০ মিটারের ভেতরে অস্থায়ী চৌকি বসিয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ বার্তা পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি বিজিবির রাজশাহী ব্যাটালিয়ন সদর কমান্ডার ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিজিবি কর্মকর্তা আরও জানান, গোদাগাড়ীর সাহেবনগর সীমান্ত ফাঁড়ির এক কিলোমিটার পূর্ব দিকে পদ্মা নদী থেকে বের হয়ে একটি কাটা নদী উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী হয়ে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার চর লবনগোলা এলাকায় প্রবেশ করেছে। তবে কাটা নদীর ভাঙনে সেখানকার সীমানা পিলারগুলো গত বছরই বিলীন হয়ে গেছে। সম্প্রতি কাটা নদীটিতে পানি কমে যাওয়ায় পশ্চিমপ্রান্তে বাংলাদেশ সীমানা সংলগ্ন এলাকায় ছোট একটি চর জেগে ওঠে। সেখানেই বিএসএফ তাদের চৌকি বসিয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, জেগে ওঠা চরটি বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের অন্তর্ভুক্ত। শুক্রবার রাতে বিএসএফ সদস্যরা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় এসে চরটিতে অস্থায়ী চৌকি তৈরি করে। পরদিন সকাল থেকে সেখানে তারা টহল দেয়। বিজিবি সদস্যরা গত রোববার সংকেত দিলে বিএসএফ সদস্যরা চৌকি ছেড়ে চলে যায়। এরপর গভীর রাতে ফের অস্থায়ী চৌকিতে অবস্থান নেয়।
তারা আরও বলেন, চরের আশপাশে অনেক ফসলি জমি রয়েছে। আমরা সেখানে নিয়মিত চাষাবাদ করি। বিএসএফ চৌকি তৈরি করার পর থেকে আমরা যেতে পারছি না।
বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন, চৌকি শূন্যরেখার মধ্যে না ভারতীয় অংশে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনও। সীমান্তে সৃষ্টি অমীমাংসিত এই বিষয়টি সন্তোষজনক সমাধানের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিএসএফকে সরজমিন পরিদর্শনে আসতে আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা আসলে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষেই চৌকি স্থাপন নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করা যাবে।
একে//
আরও পড়ুন