ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নোয়াখালী মুক্ত দিবস পালিত 

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:৩৪, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯

বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনার সভার মধ্য দিয়ে ৭ ডিসেম্বর (শনিবার) নোয়াখালী মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। জেলা পিটিআই সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে জেলা শহর মাইজদীতে র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বিজয় মঞ্চে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাম্মেল হোসেন মিলন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীষা, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহানসহ মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। 

এ সময় বক্তারা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার এতগুলো বছরেও হানাদারের দোসদের প্রেতআত্মা থেকে গেছে। বর্তমান প্রজন্মকে দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান। 

এর আগে সকালে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যে পুষ্প্যমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন। 

উল্লেখ, ১৯৭১’র ৭ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্থানী বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের হাত থেকে মুক্ত হয় অবিভক্ত নোয়াখালী। সে থেকে আজকের এ দিনটিকে ‘নোয়াখালী মুক্ত দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে মুক্তিযোদ্ধা ও জেলাবাসী। এদিন প্রত্যুষে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা বিএলএফ প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত, ডিপুটি কমান্ডার মমিন উল্যাহ্ এবং সি জোনের কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোশারেফ হোসেনের নেতৃত্বে জেলা শহর মাইজদী আক্রমন করে মুক্তিযোদ্ধারা। 

একযোগে তারা তিনটি রাজাকার ক্যাম্প দখল করে। আত্মসমর্পণ করে পাকিস্থানীদের এদেশীয় দালাল রাজাকাররা। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধের মুখে অবস্থা বেগতিক দেখে নোয়াখালী পিটিআইর ট্রেনিং সেন্টার থেকে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায় খান সেনারা। 

কেআই/আরকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি